• খ্রিস্টান ও হিন্দু পরিবারের নাস্তিকদেরকে অভিনন্দন

    এই মহাবিশ্বের স্রষ্টাকে 'নাই' প্রমাণ করে কেউ কখনো নাস্তিক হয় না। এভাবে নাস্তিক হওয়া কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। তাহলে লোকজন 'নাস্তিক' হয় কী করে? খুব সহজ। নিজ নিজ ধর্মীয় বিশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন-সংশয় করতে যেয়ে এক পর্যায়ে ধর্মকে প্রত্যাখান বা অবিশ্বাস করে 'নাস্তিক' হয়। অর্থাৎ শুরুটা হয় ধর্মীয় কিছু বিশ্বাস নিয়ে প্রশ্ন-সংশয় করে। একদম শুরুতেই কেউ স্রষ্টাকে অবিশ্বাস করে নাস্তিক হয় না। স্রষ্টাকে অবিশ্বাসের ব্যাপারটা আসে অনেক পরে। অবশ্য বর্তমান যুগের নাস্তিকদের অধিকাংশই অন্যের দেখাদেখি 'নাস্তিক' হয়। আরেকটা অংশ আবার অনুন্নত দেশগুলো থেকে উন্নত বিশ্বে আশ্রয় পাওয়ার লোভে 'নাস্তিক' তথা ইসলামবিদ্বেষী হচ্ছে।

    ১. আধুনিক যুগের নাস্তিক ও বিনোদনবাদীদের ঈশ্বরতুল্য গুরুজী রিচার্ড ডকিন্স, তার গুরুজী বার্ট্রান্ড রাসেল, ড্যানিয়েল ডেনেট, ও স্যাম হ্যারিসের মতো খ্রিস্টান পরিবারের বিখ্যাত নাস্তিকরা যতদিন পর্যন্ত আস্তিক ছিলেন ততদিন পর্যন্ত তারা: ট্রিনিটিতে বিশ্বাস করতেন, যীশুকে 'গড' বা 'গডের পুত্র' হিসেবে বিশ্বাস করতেন, এবং বাইবেলকে গডের বাণী হিসেবে বিশ্বাস করতেন। এগুলো ছাড়াও তাদেরকে আরো অনেক কিছুতেই বিশ্বাস করতে হতো। তবে খ্রিস্টান পরিবার থেকে মূলতঃ দুটি কারণে নাস্তিক হয়:
    –তারা যীশুর মতো একজন মানুষকে 'গড' হিসেবে মেনে নিতে পারে না।
    –তারা ফাদার-সান-হলিঘোস্ট নিয়ে ট্রিনিটি-র মতো অযৌক্তিক কিছুতে বিশ্বাস করতে পারে না।
    মূলতঃ এই দুটি মৌলিক বিষয় নিয়ে প্রশ্ন-সংশয় করতে যেয়ে এক পর্যায়ে তারা 'নাস্তিক' হয়। বাইবেলকে গডের বাণী হিসেবে অবিশ্বাসের ব্যাপারটা পরে আসে। মজার বিষয় হচ্ছে- ট্রিনিটি ও যীশুর গডত্বকে আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে কুরআনে সরাসরি বাতিল করা হয়েছে। আর বর্তমান বাইবেল যে গডের বাণী না, সে ব্যাপারেও কুরআনে পরোক্ষ ইঙ্গিত আছে। তবে মুসলিমদের কেউই বর্তমান বাইবেলকে পুরোপুরি গডের বাণী হিসেবে বিশ্বাস করে না।
    নিচের ছবিতে যে মানুষ'টাকে দেখা যাচ্ছে তাঁকে খ্রিস্টানরা 'গড' হিসেবে বিশ্বাস করে। তারা বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে কখনো তাঁকে 'গড' বলে, কখনো বা আবার 'গডের পুত্র' বলে! যাঁকে তালেবান মাদ্রাসার ছাত্ররা পর্যন্ত একজন মানুষ হিসেবে বিশ্বাস করে, তাঁকেই আবার খ্রিস্টানরা 'গড' হিসেবে বিশ্বাস করে! বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও ধনসম্পদে উন্নতি করে লাভ'টা তাহলে কী হলো! বার্ট্রান্ড রাসেল ও রিচার্ড ডকিন্সের মতো বিখ্যাত ব্যক্তিরা তো দূরে থাক, কোনো সাধারণ যুক্তিবাদী মানুষও কি আরেকজন মানুষকে এই মহাবিশ্বের স্রষ্টা হিসেবে মেনে নিতে পারবে? এজন্যই খ্রিস্টান পরিবারের বিজ্ঞানী ও যুক্তিবাদীরা খ্রিস্ট ধর্মে বিশ্বাস করে না। তাদের অধিকাংশই নামেমাত্র খ্রিস্টান।
     
    ২. হিন্দুদের ব্যাপারটা আবার বেশ ধোঁয়াটে। তাদের মধ্যে সত্যিকার অর্থে আস্তিক বা নাস্তিক বলে কিছু নেই, যেহেতু তাদের ধর্মে সত্য-মিথ্যার ব্যাপারটাই বেশ ধোঁয়াটে হয়ে আছে। তবে বর্তমান হিন্দু ধর্ম মূলতঃ মূর্তি-পূজার উপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে। মূর্তি-পূজা না থাকলে বর্তমান হিন্দু ধর্মের তেমন কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। পাশাপাশি হিন্দু ধর্মে ব্রহ্মা-বিষ্ণু-শিব নিয়ে ত্রিত্ববাদ/ট্রিনিটি, জন্মান্তরবাদ, এবং উঁচু-নীচু জাতিভেদ প্রথাও আছে। এ কথা সর্বজনবিদিত যে, ইসলামে মূর্তি-পূজা ও ত্রিত্ববাদকে সরাসরি বাতিল করা হয়েছে। ইসলামে উঁচু-নীচু বর্ণপ্রথা বলেও কিছু নেই। আর কুরআনে জন্মান্তরবাদকে সরাসরি বাতিল করা না হলেও কুরআনের দর্শন জন্মান্তরবাদের ঠিক বিপরীত- সেই অর্থে কুরআন অনুযায়ী জন্মান্তরবাদকে বাতিলই বলা যায়। উচ্চ-শিক্ষিত হিন্দুরা মূলতঃ দেব-দেবী-অবতারের মূর্তি-পূজা, ত্রিত্ববাদ, জন্মান্তরবাদ, ও বর্ণপ্রথা নিয়ে প্রশ্ন-সংশয় করতে যেয়ে 'নাস্তিক' হয়।
    নিচের ছবিতে বাঁশি হাতে যাকে দেখা যাচ্ছে, তার নাম কৃষ্ণ। হিন্দুদের বিশ্বাস অনুযায়ী সে-ই হচ্ছে ঈশ্বর/গড তথা এই মহাবিশ্বের স্রষ্টা [সূত্র]। বিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ী কিংবা প্রবীর ঘোষ ও অভিজিৎ রায়ের মতো 'যুক্তিবিদ্যার জাহাজ' তো দূরে থাক, কোনো সাধারণ যুক্তিবাদী মানুষও কি তাকে এই মহাবিশ্বের স্রষ্টা হিসেবে মেনে নিতে পারবে? এজন্যই তাদের মধ্যে বর্ণবাদী মানসিকতার উচ্চ-শিক্ষিত ও যুক্তিবাদী লোকজন নিজেদেরকে 'নাস্তিক' দাবি করে ইসলামের বিরুদ্ধে লিখে। কিন্তু মুসলিম পরিবারের অজ্ঞ-অসচেতন লোকজন তাদের দেখাদেখি কিংবা তাদের ফাঁদে পড়ে 'নাস্তিক' এবং পরবর্তীতে ইসলামবিদ্বেষী হয়ে যায়।
    তার মানে যা দাঁড়াল তা হচ্ছে- খ্রিস্টান ও হিন্দু পরিবারের উচ্চ-শিক্ষিত যুক্তিবাদীরা কুরআনের অত্যন্ত মৌলিক কিছু দাবিকে (পরোক্ষভাবে) সত্য হিসেবে মেনে নিয়ে তাদের ধর্ম ত্যাগ করে 'নাস্তিক' হচ্ছে। সেই সাথে এটাও প্রমাণ হচ্ছে যে, ১৪০০ বছর আগে কুরআনে ট্রিনিটি, যীশুর ডিভিনিটি তথা মানুষের গড হওয়া, ও মূর্তি-পূজাকে বাতিল করা ১০০% যৌক্তিক বা সঠিক ছিল। খ্রিস্টান ও হিন্দু পরিবারের উচ্চ-শিক্ষিত যুক্তিবাদীরা এটার পক্ষে প্রতিনিয়ত সাক্ষি দিচ্ছে।
    অতএব- ইসলামকে মেনে না নিলেও ইসলামের মৌলিক কিছু দাবি/শিক্ষাকে সত্য হিসেবে মেনে নেওয়ার জন্য খ্রিস্টান ও হিন্দু পরিবারের নাস্তিকদেরকে মুসলিমদের পক্ষ থেকে অভিনন্দন 👍
    উপসংহার:
    –খ্রিস্টধর্ম ও হিন্দুধর্মের একদম মূলেই সমস্যা। এই দুটি ধর্মে কিছু মানুষকে 'গড' বানানো হয়েছে। তাছাড়াও তাদের ধর্মে 'ট্রিনিটি'-র মতো অযৌক্তিক বিশ্বাস যুক্ত করা হয়েছে। তাদের ধর্মগ্রন্থের অসারতার কথা না-হয় বাদই থাকলো। এজন্য এই দুটি ধর্মের উচ্চ-শিক্ষিত যুক্তিবাদীরা দলে দলে 'নাস্তিক' হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে রিচার্ড ডকিন্স, স্যাম হ্যারিস, ও অভিজিৎ রায়ের মানসিকতার 'নাস্তিক'রা নিজেদের ধর্মের অসারতাকে মেনে নিতে না পেরে প্রতিহিংসাবশত ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা-বিদ্বেষমূলক প্রপাগ্যাণ্ডা ছড়াচ্ছে। মুসলিম পরিবারের নাস্তিকরা কি প্রতিহিংসাবশত অন্যান্য ধর্মের বিরুদ্ধে মিথ্যা-বিদ্বেষমূলক প্রপাগ্যাণ্ডা ছড়াচ্ছে? মোটেও না।
    –আধুনিক যুগের বার্ট্রান্ড রাসেল, রিচার্ড ডকিন্স, ড্যানিয়েল ডেনেট, স্যাম হ্যারিস, প্রবীর ঘোষ, অভিজিৎ রায়দের চেয়েও কুরআন অ-নে-ক অ-নে-ক এগিয়ে আছে। কেননা তারা তাদের ধর্মের যে মৌলিক বিষয়গুলো নিয়ে প্রশ্ন-সংশয় করতে যেয়ে 'নাস্তিক' হচ্ছে, সেগুলোকে ইসলামে ১৪০০ বছর আগেই বাতিল করা হয়েছে (যেমন: ট্রিনিটি, ম্যান-গড, মূর্তিপূজা, জন্মান্তরবাদ, বর্ণপ্রথা, ইত্যাদি)। কাজেই রাসেল-ডকিন্স-ডেনেট-হ্যারিস-ঘোষ-অভিজিৎ'দেরকে নিজ নিজ ধর্ম ত্যাগ করে নাস্তিক হওয়ার জন্য তেমন কোনো ক্রেডিট দেয়া যাচ্ছে না বলে দুঃখিত!
    –ইসলাম অনুযায়ী শির্ক (মূর্তি-পূজা) ও ট্রিনিটিতে বিশ্বাস যেহেতু ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ, সেহেতু খ্রিস্টান ও হিন্দু পরিবারের যুক্তিবাদীরা তাদের মূর্তিপূজা-ট্রিনিটি'ভিত্তিক ধর্মকে প্রত্যাখ্যান করে ইসলামের সত্যের কাছাকাছি আসছে। তাদের একাংশ অবশ্য সত্যকে পুরোপুরিই গ্রহণ করছে।
    –রাসেল-ডকিন্স-অভিজিৎ'দের তুলনায় অত্যন্ত নিম্নমানের মুসলিম পরিবারের নাস্তিকরা সত্য থেকে অনেক দূরে সরে গেছে। (নোট: ইহুদী-খ্রিস্টান-হিন্দু পরিবারের নাস্তিকরা সাধারণত অন্যান্য ধর্মের নাস্তিকদের দেখাদেখি নাস্তিক হয় না। কিন্তু মুসলিম পরিবারের নাস্তিকরা ইহুদী-খ্রিস্টান-হিন্দু পরিবারের নাস্তিকদের দেখাদেখি 'নাস্তিক' হয়। তাদের ব্যক্তিত্ববোধ বলেও কিছু থাকে না। ব্যতিক্রম কিছু বাদে তারা সাম্রাজ্যবাদী-যায়নবাদী-ব্রাহ্মণ্যবাদীদের পদতলে মস্তক সঁপে দিয়ে ইসলাম ও মুসলিমদেরকে গালিগালাজ করে। এমনকি তাদের নিজস্বতা বলেও কিছু নাই। তারা মূলতঃ ইসলামের বিরুদ্ধে খ্রিস্টান মিশন্যারীদের লেখা থেকে বিভিন্ন 'আইডিয়া' নিয়ে বাংলায় অনুবাদ করে ইসলামের বিরুদ্ধে ঘৃণাবিদ্বেষ ছড়ায়।)
    –অন্যান্য ধর্মীয় পরিবারের সবচেয়ে ব্রাইট ও যুক্তিবাদী লোকজন ধর্মে অবিশ্বাসী বা 'নাস্তিক' হয় (যেমন: আইনস্টাইন, বার্টান্ড রাসেল, রিচার্ড ডকিন্স, স্যাম হ্যারিস, সুব্রাহ্মনিয়ান চন্দ্রশেখর, অমর্ত্য সেন, প্রবীর ঘোষ, অভিজিৎ রায়, ইত্যাদি)। অন্যদিকে মুসলিম পরিবারের মাঝারি মানের ও মোল্লা টাইপের লোকজনই মূলতঃ 'নাস্তিক' হয়।

    ৩. 'নাস্তিক' হওয়ার পর তাদের বিশ্বাসগুলো মোটাদাগে নিম্নরূপ:
    এই মহাবিশ্বের স্রষ্টা বলে কেউ নাই! (এটা কি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত সত্য? প্রশ্নই ওঠে না!) কাজেই হিটলার-স্ট্যালিন-মাও-পলপট-সন্ত্রাসী-যুদ্ধাপরাধী'সহ বড় বড় গণহত্যাকারী ও অপরাধীদের আর কোনোদিন বিচার হবে না! তারা মরে গিয়ে অনন্তকালের জন্য বেঁচে গেছে! অন্যদিকে মুসলিমদের বিশ্বাস অনুযায়ী তাদের সকলেরই একদিন বিচার হবে। বিচার করবেন এই মহাবিশ্বের স্রষ্টা (আল্লাহ্‌)। অতএব, নাস্তিকদের বিশ্বাসের চেয়ে মুসলিমদের বিশ্বাস অ-নে-ক বেশি মানবিক।
    বিবর্তনবাদ তত্ত্ব গাছ থেকে ভূমিতে অ্যাপেল পড়ার মতোই সত্য! একটি ব্যাকটেরিয়া থেকে কারো সাহায্য ছাড়াই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ধাপে তিমি, হাঙ্গর, হাতি, ঘোড়া, বাঘ, সিংহ, তালগাছ, বটগাছ, ও ডকিন্স'সহ পুরো জীবজগত বিবর্তিত হয়েছে! এটা কি বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত সত্য? পাগোল নাকি! এটা বরং ট্রিনিটি-তে বিশ্বাসের চেয়েও অযৌক্তিক ও হাস্যকর কিছু একটা। তবে বাচ্চাদের বিনোদনের জন্য আমি এই তত্ত্বকে সমর্থন করি। এক্ষেত্রেও নাস্তিকরা মুসলিমদের ধারেকাছেও আসতে পারছে না। যারা নিজেদেরকে শুকর-কুকুর-হায়েনা-গরু-ছাগল-ইঁদুর-বিড়াল-মশা-মাছি-বানর-শিম্পাঞ্জী-র মতোই স্রেফ আরেকটা প্রজাতি মনে করে, তারা যৌক্তিক ও মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে মানুষের ধারেকাছে আসতে পারার কথাও না।
    তাহলে দেখা যাচ্ছে- যৌক্তিক ও মানবিক উভয় দৃষ্টিকোণ থেকেই আস্তিক/নাস্তিক ডকিন্স-অভিজিৎ'দের চেয়ে মুসলিমরা অনেক এগিয়ে আছে। সত্যি বলতে- এদিক দিয়ে মাদ্রাসার দুই ক্লাশ পড়ুরা একজন ছাত্রও ডকিন্স-অভিজিৎ'দের চেয়ে এগিয়ে আছে। ইট'স আ ফ্যাক্ট, গাইজ! 'নাস্তিক' হয়ে ডকিন্স-অভিজিৎ'দের লাভ'টা তাহলে কী হলো! এজন্য ডকিন্স-হ্যারিস-অভি-রা তাদের এই চরম হতভম্বতাকে সব সময় 'বিজ্ঞান' দিয়ে ঢাকার (অপ)চেষ্টা করে।
    উপসংহার: 
    –মুসলিমদের মধ্যে শত সমস্যা থাকা সত্ত্বেও তারা সত্যের পথেই আছে। খ্রিস্টান ও হিন্দু পরিবারের উচ্চ-শিক্ষিত যুক্তিবাদীরা পরোক্ষভাবে একই সাক্ষ্য দিচ্ছে। তবে মুসলিমদেরকে বিজ্ঞান ও শিক্ষা-দীক্ষায় আরো উন্নতি করতে হবে। অন্যথায় ডকিন্স-অভি'দের মতো 'নাস্তিক' পাদ্রী-পুরোহিতরা বিজ্ঞানের নামে আগডুম-বাগডুম-ঘোড়াডুম বুঝিয়ে মুসলিম পরিবারের অজ্ঞ লোকজনকে নাস্তিকতায় ধর্মান্তরিত করবে।
    –রিচার্ড ডকিন্স এবং তার অন্ধ ভক্তদেরকে বিশেষভাবে যৌক্তিক ও মানবিক দিকে উন্নতি করতে হবে। তবে 'নাস্তিক' হয়ে সেটা কখনোই সম্ভব হবে না! কেননা হিটলার-স্ট্যালিনের মতো অপরাধীদের বিচারে বিশ্বাস করতে হলে এই মহাবিশ্বের স্রষ্টায় বিশ্বাসী হতেই হবে। এর বিকল্প কোনো পথই খোলা নেই যে! ইট'স এ্যান আলটিমেট চ্যালেঞ্জ ফর এথিস্টস।

    ধর্মবিদ্বেষী নাস্তিকদের প্রভাব কবে থেকে শুরু হয়েছে?
    মুসলিমরা যেই সময় জ্ঞান-বিজ্ঞানে এগিয়ে ছিল, সেই সময় সারা বিশ্বের কোথাও ধর্মবিদ্বেষী নাস্তিকদের কোনো প্রভাব ছিল না। ধর্মবিদ্বেষী নাস্তিকদের প্রভাব শুরু হয়েছে জ্ঞান-বিজ্ঞানে মুসলিমদের পতনের পর থেকে। আরো সঠিকভাবে বললে বলা যায় -- খ্রিস্টান চার্চের সাথে বিজ্ঞানের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর থেকেই মূলতঃ ধর্মবিদ্বেষী নাস্তিকদের যাত্রা শুরু হয়েছে। সেই সময় খ্রিস্টান চার্চ ব্রুনোকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের জন্য বিখ্যাত বিজ্ঞানী গ্যালিলিওকে গৃহবন্দী করে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। তাছাড়াও মুক্তচিন্তকদের উপর বিভিন্নভাবে অত্যাচার-নির্যাতন চালানো হয়েছে।
    খ্রিস্টান চার্চের সাথে বিজ্ঞানের সেই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের প্রভাব পড়েছে অন্যান্য ধর্ম বিশেষ করে ইসলামের উপর। সেই সংঘর্ষকে পুঁজি করে খ্রিস্টান পরিবারের নাস্তিকরা বিজ্ঞানকে ঢালাওভাবে সব ধর্মের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দেওয়া শুরু করেছে। বার্টান্ড রাসেল, রিচার্ড ডকিন্স, ড্যানিয়েল ডেনেট, ও স্যাম হ্যারিসের মতো খ্রিস্টান পরিবারের বিখ্যাত নাস্তিকরা যেহেতু সারা বিশ্বের নাস্তিকদের কাছে রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হয়, সেহেতু মুসলিম পরিবারের নাস্তিকরাও তাদের গুরুদের দেখাদেখি বিজ্ঞানকে ইসলামের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দিয়ে নিজেদেরকে বেগুনমনস্ক থুক্কু বিজ্ঞানমনস্ক প্রমাণ করার চেষ্টা করে! 😛 অবশ্য তাদেরকে হাতে-কলমে এই অপশিক্ষা দিয়ে গেছে সুযোগ সন্ধানী মিশন্যারী অভিজিৎ রায়।
  • 0 comments:

    Post a Comment

    New Research

    Attention Mechanism Based Multi Feature Fusion Forest for Hyperspectral Image Classification.

    CBS-GAN: A Band Selection Based Generative Adversarial Net for Hyperspectral Sample Generation.

    Multi-feature Fusion based Deep Forest for Hyperspectral Image Classification.

    ADDRESS

    388 Lumo Rd, Hongshan, Wuhan, Hubei, China

    EMAIL

    contact-m.zamanb@yahoo.com
    mostofa.zaman@cug.edu.cn

    TELEPHONE

    #
    #

    MOBILE

    +8615527370302,
    +8807171546477