• পাপ-পুণ্য লিখার নিয়ম ও আল্লাহর অনুগ্রহ

     পাপ-পুণ্য লিখার নিয়ম ও আল্লাহর অনুগ্রহ

    ১. আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

    1- «يَقُولُ اللَّهُ: إِذَا أَرَادَ عَبْدِي أَنْ يَعْمَلَ سَيِّئَةً فَلَا تَكْتُبُوهَا عَلَيْهِ حَتَّى يَعْمَلَهَا، فَإِنْ عَمِلَهَا فَاكْتُبُوهَا بِمِثْلِهَا، وَإِنْ تَرَكَهَا مِنْ أَجْلِي، فَاكْتُبُوهَا لَهُ حَسَنَةً، وَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَعْمَلَ حَسَنَةً فَلَمْ يَعْمَلْهَا، فَاكْتُبُوهَا لَهُ حَسَنَةً، فَإِنْ عَمِلَهَا فَاكْتُبُوهَا لَهُ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا إِلَى سَبْعمِائَةِ ضِعْفٍ».

    “আল্লাহ বলেন: আমার বান্দা যখন কোনো পাপ করার ইচ্ছা করে, তখন তোমরা তা লিখ না যতক্ষণ না সে তা করে। যদি সে তা করে সমান পাপ লিখ। আর যদি সে তা আমার কারণে ত্যাগ করে[1], তাহলে তার জন্য তা নেকি হিসেবে লিখ। আর যদি সে নেকি করার ইচ্ছা করে কিন্তু সে তা করে নি, তার জন্য তা নেকি হিসেবে লিখ। অতঃপর যদি সে তা করে তাহলে তার জন্য তা দশগুণ থেকে সাতশো গুণ পর্যন্ত লিখ”। (সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম) হাদীসটি সহীহ।

    ২. আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:

    2- «قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ: إِذَا تَحَدَّثَ عَبْدِي بِأَنْ يَعْمَلَ حَسَنَةً فَأَنَا أَكْتُبُهَا لَهُ حَسَنَةً مَا لَمْ يَعْمَلْ، فَإِذَا عَمِلَهَا فَأَنَا أَكْتُبُهَا بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا، وَإِذَا تَحَدَّثَ بِأَنْ يَعْمَلَ سَيِّئَةً فَأَنَا أَغْفِرُهَا لَهُ مَا لَمْ يَعْمَلْهَا، فَإِذَا عَمِلَهَا فَأَنَا أَكْتُبُهَا لَهُ بِمِثْلِهَا», وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم : «قَالَتْ الْمَلَائِكَةُ: رَبِّ هذَا عَبْدُكَ يُرِيدُ أَنْ يَعْمَلَ سَيِّئَةً -وَهُوَ أَبْصَرُ بِهِ- فَقَالَ: «ارْقُبُوهُ فَإِنْ عَمِلَهَا فَاكْتُبُوهَا لَهُ بِمِثْلِهَا، وَإِنْ تَرَكَهَا فَاكْتُبُوهَا لَهُ حَسَنَةً، إِنَّمَا تَرَكَهَا مِنْ جَرَّايَ».

    “আল্লাহ বলেন: আমার বান্দা যখন নেকি করার ইচ্ছা করে আমি তার জন্য একটি নেকি লিখি যতক্ষণ সে না করে, যখন সে করে আমি তার দশগুণ লিখি। আর যখন সে পাপ করার ইচ্ছা করে আমি তার জন্য তা ক্ষমা করি যতক্ষণ সে না করে, অতঃপর যখন সে তা করে তখন আমি তার সমান লিখি”। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: “ফিরিশতাগণ বলে: হে আমার রব আপনার এ বান্দা পাপ করার ইচ্ছা করে, (যদিও আল্লাহ তাকে বেশি জানেন) তিনি বলেন: তাকে পর্যবেক্ষণ কর যদি সে করে তার জন্য সমান পাপ লিখ, যদি সে ত্যাগ করে তার জন্য তা নেকি লিখ, কারণ আমার জন্যই সে তা ত্যাগ করেছে।[2] (সহীহ মুসলিম) হাদীসটি সহীহ।

    ﴿وَإِن تُبۡدُواْ مَا فِيٓ أَنفُسِكُمۡ أَوۡ تُخۡفُوهُ يُحَاسِبۡكُم بِهِ ٱللَّهُۖ

    আল্লাহ তা‘আলার বাণী: “আর তোমরা যদি প্রকাশ কর যা তোমাদের ‎অন্তরে রয়েছে অথবা গোপন কর, আল্লাহ সে ‎বিষয়ে তোমাদের হিসাব নেবেন”

    ৩. ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত,

    3- «لَمَّا نَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ: ﴿وَإِن تُبۡدُواْ مَا فِيٓ أَنفُسِكُمۡ أَوۡ تُخۡفُوهُ يُحَاسِبۡكُم بِهِ ٱللَّهُ﴾، قَالَ: دَخَلَ قُلُوبَهُمْ مِنْهَا شَيْءٌ لَمْ يَدْخُلْ قُلُوبَهُمْ مِنْ شَيْءٍ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم : «قُولُوا سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا وَسَلَّمْنَا» قَالَ: فَأَلْقَى اللَّهُ الْإِيمَانَ فِي قُلُوبِهِمْ فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى: ﴿لَا يُكَلِّفُ ٱللَّهُ نَفۡسًا إِلَّا وُسۡعَهَاۚ لَهَا مَا كَسَبَتۡ وَعَلَيۡهَا مَا ٱكۡتَسَبَتۡۗ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذۡنَآ إِن نَّسِينَآ أَوۡ أَخۡطَأۡنَاۚ﴾ «قَالَ: قَدْ فَعَلْتُ» ﴿رَبَّنَا وَلَا تَحۡمِلۡ عَلَيۡنَآ إِصۡرٗا كَمَا حَمَلۡتَهُۥ عَلَى ٱلَّذِينَ مِن قَبۡلِنَاۚ﴾ «قَالَ: قَدْ فَعَلْتُ» ﴿وَٱغۡفِرۡ لَنَا وَٱرۡحَمۡنَآۚ أَنتَ مَوۡلَىٰنَا﴾ [البقرة: ٢٨٦] «قَالَ: قَدْ فَعَلْتُ»

    “যখন ﴿وَإِن تُبۡدُواْ مَا فِيٓ أَنفُسِكُمۡ أَوۡ تُخۡفُوهُ يُحَاسِبۡكُم بِهِ ٱللَّهُۖ “আর তোমরা যদি প্রকাশ কর যা তোমাদের ‎অন্তরে রয়েছে অথবা গোপন কর, আল্লাহ সে ‎বিষয়ে তোমাদের হিসাব নেবেন” [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ২৮৬] ‎ এ আয়াত নাযিল হলো, তখন ইবন আব্বাস বলেন, তখন তাদের (সাহাবীদের) অন্তরে কিছু প্রবেশ করল যা পূর্বে তাদের অন্তরে প্রবেশ করে নি। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: “তোমরা বল: শুনেছি, আনুগত্য করেছি ও মেনে নিয়েছি”। তিনি বলেন: ফলে আল্লাহ তাদের অন্তরে ঈমান ঢেলে দিলেন এবং তিনি নাযিল করলেন: ﴿لَا يُكَلِّفُ ٱللَّهُ نَفۡسًا إِلَّا وُسۡعَهَاۚ لَهَا مَا كَسَبَتۡ وَعَلَيۡهَا مَا ٱكۡتَسَبَتۡۗ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذۡنَآ إِن نَّسِينَآ أَوۡ أَخۡطَأۡنَاۚ “আল্লাহ কোনো ব্যক্তিকে তার সামর্থ্যের বাইরে ‎‎দায়িত্ব দেন না। সে যা অর্জন করে তা তার ‎জন্যই এবং সে যা কামাই করে তা তার ‎ওপরই বর্তাবে। হে আমাদের রব! আমরা ‎যদি ভুলে যাই, অথবা ভুল করি তাহলে ‎আপনি আমাদেরকে পাকড়াও করবেন না”। [সূরা বাকারাহ, আয়াত: ২৮৬] নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: “আল্লাহ বলেছেন: আমি কবুল করেছি”﴿وَلَا تَحۡمِلۡ عَلَيۡنَآ إِصۡرٗا كَمَا حَمَلۡتَهُۥ عَلَى ٱلَّذِينَ مِن قَبۡلِنَاۚ “হে ‎আমাদের রব, আমাদের উপর বোঝা চাপিয়ে ‎‎দেবেন না, যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর ‎চাপিয়ে দিয়েছেন”। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: “আল্লাহ বলেছেন: আমি কবুল করেছি”। ﴿وَٱغۡفِرۡ لَنَا وَٱرۡحَمۡنَآۚ أَنتَ مَوۡلَىٰنَا “আর আপনি আমাদেরকে ‎‎ক্ষমা করুন, আর আমাদের উপর দয়া করুন। ‎আপনি আমাদের অভিভাবক”। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: “আল্লাহ বলেছেন: আমি কবুল করেছি”। [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ২৮৬] (সহীহ মুসলিম), হাদীসটি সহীহ।

    ৪. আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত,

    4- «لَمَّا نَزَلَتْ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم : ﴿لِّلَّهِ مَا فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِي ٱلۡأَرۡضِۗ وَإِن تُبۡدُواْ مَا فِيٓ أَنفُسِكُمۡ أَوۡ تُخۡفُوهُ يُحَاسِبۡكُم بِهِ ٱللَّهُۖ فَيَغۡفِرُ لِمَن يَشَآءُ وَيُعَذِّبُ مَن يَشَآءُۗ وَٱللَّهُ عَلَىٰ كُلِّ شَيۡءٖ قَدِيرٌ ٢٨٤﴾ [البقرة: ٢٨٤] قَالَ: فَاشْتَدَّ ذَلِكَ عَلَى أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَتَوْا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ بَرَكُوا عَلَى الرُّكَبِ فَقَالُوا: أَيْ رَسُولَ اللَّهِ؟ كُلِّفْنَا مِنْ الْأَعْمَالِ مَا نُطِيقُ الصَّلَاةَ وَالصِّيَامَ وَالْجِهَادَ وَالصَّدَقَةَ وَقَدْ أُنْزِلَتْ عَلَيْكَ هَذِهِ الْآيَةُ وَلَا نُطِيقُهَا، قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم : « أَتُرِيدُونَ أَنْ تَقُولُوا كَمَا قَالَ أَهْلُ الْكِتَابَيْنِ مِنْ قَبْلِكُمْ: سَمِعْنَا وَعَصَيْنَا؟ بَلْ قُولُوا: (سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ) قَالُوا: سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ، فَلَمَّا اقْتَرَأَهَا الْقَوْمُ ذَلَّتْ بِهَا أَلْسِنَتُهُمْ، فَأَنْزَلَ اللَّهُ فِي إِثْرِهَا: ﴿ءَامَنَ ٱلرَّسُولُ بِمَآ أُنزِلَ إِلَيۡهِ مِن رَّبِّهِۦ وَٱلۡمُؤۡمِنُونَۚ كُلٌّ ءَامَنَ بِٱللَّهِ وَمَلَٰٓئِكَتِهِۦ وَكُتُبِهِۦ وَرُسُلِهِۦ لَا نُفَرِّقُ بَيۡنَ أَحَدٖ مِّن رُّسُلِهِۦۚ وَقَالُواْ سَمِعۡنَا وَأَطَعۡنَاۖ غُفۡرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيۡكَ ٱلۡمَصِيرُ ٢٨٥﴾ [البقرة: ٢٨٥] فَلَمَّا فَعَلُوا ذَلِكَ نَسَخَهَا اللَّهُ تَعَالَى، فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ: ﴿لَا يُكَلِّفُ ٱللَّهُ نَفۡسًا إِلَّا وُسۡعَهَاۚ لَهَا مَا كَسَبَتۡ وَعَلَيۡهَا مَا ٱكۡتَسَبَتۡۗ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذۡنَآ إِن نَّسِينَآ أَوۡ أَخۡطَأۡنَاۚ﴾ «قَالَ: نَعَمْ» ﴿رَبَّنَا وَلَا تَحۡمِلۡ عَلَيۡنَآ إِصۡرٗا كَمَا حَمَلۡتَهُۥ عَلَى ٱلَّذِينَ مِن قَبۡلِنَاۚ﴾ «قَالَ: نَعَمْ» ﴿رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلۡنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهِۦۖ﴾

     «قَالَ: نَعَمْ» ﴿وَٱعۡفُ عَنَّا وَٱغۡفِرۡ لَنَا وَٱرۡحَمۡنَآۚ أَنتَ مَوۡلَىٰنَا فَٱنصُرۡنَا عَلَى ٱلۡقَوۡمِ ٱلۡكَٰفِرِينَ﴾ «قَال: نَعَمْ »

    “যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর নাযিল হলো:

    ﴿لِّلَّهِ مَا فِي ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَمَا فِي ٱلۡأَرۡضِۗ وَإِن تُبۡدُواْ مَا فِيٓ أَنفُسِكُمۡ أَوۡ تُخۡفُوهُ يُحَاسِبۡكُم بِهِ ٱللَّهُۖ فَيَغۡفِرُ لِمَن يَشَآءُ وَيُعَذِّبُ مَن يَشَآءُۗ وَٱللَّهُ عَلَىٰ كُلِّ شَيۡءٖ قَدِيرٌ ٢٨٤﴾ [البقرة: ٢٨٤]

    “আল্লাহর জন্যই যা রয়েছে আসমানসমূহে এবং ‎যা রয়েছে যমীনে। আর তোমরা যদি প্রকাশ ‎করো যা তোমাদের অন্তরে রয়েছে অথবা ‎‎গোপন কর, আল্লাহ সে বিষয়ে তোমাদের ‎হিসাব নেবেন। অতঃপর তিনি যাকে চান ক্ষমা ‎করোবেন, আর যাকে চান আযাব দেবেন। আর ‎আল্লাহ সবকিছুর ওপর ক্ষমতাবান”। [সূরা আল-বাকারাহ, আয়াত: ২৮৪] ‎ তিনি বলেন: এ আয়াত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথীদের ওপর কঠিন ঠেকল, তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট আসল, অতঃপর হাঁটু গেড়ে বসল। তারা বলল: হে আল্লাহর রাসূল? আমাদেরকে কতক আমলের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে যা আমরা সাধ্য রাখি: সালাত, সিয়াম, জিহাদ ও সদকা; কিন্তু আপনার ওপর এ আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে অথচ আমরা তার সাধ্য রাখি না! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: “তোমরা কি সেরূপ বলতে চাও তোমাদের পূর্বে কিতাবওয়ালা দুটি দল (ইয়াহূদী ও নাসারারা) যেরূপ বলেছে: শুনলাম ও প্রত্যাখ্যান করলাম? বরং তোমরা বল: “আমরা শুনলাম এবং মানলাম। হে আমাদের ‎রব! আমরা আপনারই ক্ষমা প্রার্থনা করি, আর ‎আপনার দিকেই প্রত্যাবর্তনস্থল”। ‎তারা বলল: আমরা শুনলাম, মেনে নিলাম, হে আমাদের রব আপনার ক্ষমা চাই, আপনার নিকটই আমাদের প্রত্যাবর্তনস্থল। যখন সকলে তা পড়ল, তাদের জবান দ্বিধাহীন তা উচ্চারণ করল। আল্লাহ তা‘আলা তার পশ্চাতে নাযিল করলেন:

    ﴿ءَامَنَ ٱلرَّسُولُ بِمَآ أُنزِلَ إِلَيۡهِ مِن رَّبِّهِۦ وَٱلۡمُؤۡمِنُونَۚ كُلٌّ ءَامَنَ بِٱللَّهِ وَمَلَٰٓئِكَتِهِۦ وَكُتُبِهِۦ وَرُسُلِهِۦ لَا نُفَرِّقُ بَيۡنَ أَحَدٖ مِّن رُّسُلِهِۦۚ وَقَالُواْ سَمِعۡنَا وَأَطَعۡنَاۖ غُفۡرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيۡكَ ٱلۡمَصِيرُ ٢٨٥﴾ [البقرة: ٢٨٥]

    “রাসূল তার নিকট তার রবের পক্ষ থেকে ‎নাযিলকৃত বিষয়ের প্রতি ঈমান এনেছে, আর ‎মুমিনগণও। প্রত্যেকে ঈমান এনেছে আল্লাহর ‎ওপর, তাঁর ফিরিশতাকুল, কিতাবসমূহ ও তাঁর ‎রাসূলগণের ওপর, আমরা তাঁর রাসূলগণের ‎কারোও মধ্যে তারতম্য করি না। আর তারা ‎বলে, আমরা শুনলাম এবং মানলাম। হে ‎আমাদের রব! আমরা আপনারই ক্ষমা প্রার্থনা ‎করি, আর আপনার দিকেই প্রত্যাবর্তনস্থল”। [সূরা আলি-বাকারা, আয়াত : ১৮৫] যখন তারা এর ওপর আমল করল, আল্লাহ তা রহিত করলেন, অতঃপর নাযিল করলেন:

    ﴿لَا يُكَلِّفُ ٱللَّهُ نَفۡسًا إِلَّا وُسۡعَهَاۚ لَهَا مَا كَسَبَتۡ وَعَلَيۡهَا مَا ٱكۡتَسَبَتۡۗ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذۡنَآ إِن نَّسِينَآ أَوۡ أَخۡطَأۡنَاۚ﴾

    “আল্লাহ কোনো ব্যক্তিকে তার সামর্থ্যের বাইরে ‎‎দায়িত্ব দেন না। সে যা অর্জন করে তা তার ‎জন্যই এবং সে যা কামাই করে তা তার ‎উপরই বর্তাবে। হে আমাদের রব! আমরা ‎যদি ভুলে যাই, অথবা ভুল করি তাহলে ‎আপনি আমাদেরকে পাকড়াও করবেন না”। তিনি বলেন: হ্যাঁ।

    ﴿رَبَّنَا وَلَا تَحۡمِلۡ عَلَيۡنَآ إِصۡرٗا كَمَا حَمَلۡتَهُۥ عَلَى ٱلَّذِينَ مِن قَبۡلِنَاۚ﴾

    “হে ‎আমাদের রব, আমাদের উপর বোঝা চাপিয়ে ‎‎দেবেন না, যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর ‎চাপিয়ে দিয়েছেন”। তিনি বলেন: হ্যাঁ।

    ﴿رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلۡنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهِۦۖ﴾

    “হে আমাদের রব, আপনি ‎আমাদেরকে এমন কিছু বহন করাবেন না, যার ‎সামর্থ্য আমাদের নেই”। তিনি বলেন: হ্যাঁ।

    ﴿وَٱعۡفُ عَنَّا وَٱغۡفِرۡ لَنَا وَٱرۡحَمۡنَآۚ أَنتَ مَوۡلَىٰنَا فَٱنصُرۡنَا عَلَى ٱلۡقَوۡمِ ٱلۡكَٰفِرِينَ﴾

    “আর আপনি ‎আমাদেরকে মার্জনা করুন এবং আমাদেরকে ‎‎ক্ষমা করুন, আর আমাদের ওপর দয়া করুন। ‎আপনি আমাদের অভিভাবক। অতএব, আপনি ‎কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে ‎সাহায্য করুন।‎ তিনি বলেন: হ্যাঁ।” (সহীহ মুসলিম) হাদীসটি সহীহ।


    https://islamhouse.com/read/bn/%E0%A6%B8%E0%A6%B9%E0%A6%BF%E0%A6%B9-%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%B8%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A7%81%E0%A6%A6%E0%A6%B8%E0%A6%BF-385563#t3

  • 0 comments:

    Post a Comment

    New Research

    Attention Mechanism Based Multi Feature Fusion Forest for Hyperspectral Image Classification.

    CBS-GAN: A Band Selection Based Generative Adversarial Net for Hyperspectral Sample Generation.

    Multi-feature Fusion based Deep Forest for Hyperspectral Image Classification.

    ADDRESS

    388 Lumo Rd, Hongshan, Wuhan, Hubei, China

    EMAIL

    contact-m.zamanb@yahoo.com
    mostofa.zaman@cug.edu.cn

    TELEPHONE

    #
    #

    MOBILE

    +8615527370302,
    +8807171546477