গুরুত্বপূর্ণ জ্ঞানমূলক প্রশ্নসমূহ

- তথ্য প্রযুক্তি কী?
উত্তরঃ তথ্য সংগ্রহ, এর সত্যতা ও বৈধতা যাচাই, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, আধুনিকীকরণ, পরিবহন, বিতরণ ও ব্যবস্থাপনার সাথে সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তিকে তথ্য প্রযুক্তি বা ইনফরমেশন টেকনোলজি বলে।
- ডেটা বা উপাত্ত কী?
উত্তরঃ সুনির্দিষ্ট ফলাফল পাওয়ার জন্য প্রসেসিংয়ে ব্যবহৃত কাঁচামাল সমূহকে ডেটা বা উপাত্ত বলে।
- ইনফরমেশন বা তথ্য কী?
উত্তরঃ ইনফরমেশন হলো কোনো প্রেক্ষিতে সুশৃঙ্খলভাবে সাজানো ডেটা যা সহজবোধ্য, অর্থবহ, কার্যকর ও ব্যবহারযোগ্য।
- ক্রায়োসার্জারি কী?
উত্তরঃ ক্রায়োসার্জারি হচ্ছে এমন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি, যা খুব নিম্ন তাপমাত্রায় বা শীতলীকরণের মাধ্যমে শরীরের অসুস্থ বা অস্বাভাবিক টিস্যুকে ধ্বংস করে।
- ন্যানোটেকনোলজি কী?
উত্তরঃ ন্যানোটেকনোলজি হলো পারমাণবিক বা আণবিক স্কেলে অতি ক্ষুদ্র ডিভাইস(যেমন-রোবট) তৈরি করার জন্য ধাতব ও বস্তুকে কাজে লাগানোর বিজ্ঞান।
- ই-কমার্স কী?
উত্তরঃ ই-কমার্স হলো ইন্টারনেট বা অন্য কোনো কম্পিউটার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে পণ্য বা সেবা ক্রয়-বিক্রয় করা।
- ভিডিও কনফারেন্সিং কী?
উত্তরঃ টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে সভা অনুষ্ঠানের প্রক্রিয়ায় মনিটর বা টেলিভিশনের পর্দায় অংশগ্রহনকারীরা পরস্পরের মুখোমুখী হয়ে একে অন্যকে স্ক্রিনে দেখে কথোপকথনে অংশগ্রহন করার ব্যবস্থাকে ভিডিও কনফারেন্সিং বলে।
- বায়োইনফরমেটিক্স কী?
উত্তরঃ জীব সংক্রান্ত তথ্য ব্যবস্থাপনার কাজে কম্পিউটার প্রযুক্তির প্রয়োগই হলো বায়ো ইনফরমেটিক্স।
- হ্যাকিং কী?
উত্তরঃ সাধারনত অনুমতি ব্যতীত কোনো কম্পিউটার নেটওয়ার্কে প্রবেশ করে কম্পিউটার ব্যবহার করা বা কোনো কম্পিউটারকে নিয়ন্ত্রনে নিয়ে নেওয়াই হলো হ্যাকিং।
- প্লেজিয়ারিজম কী?
উত্তরঃ অন্যের লেখা, গবেষণালব্ধ তথ্য ইত্যাদি নিজের নামে চালিয়ে দেওয়াকে প্লেজিয়ারিজম বলে।
- Global Village বা বিশ্বগ্রাম কী?
উত্তরঃ বিশ্বগ্রাম হচ্ছে এমন একটি পরিবেশ যেখানে পৃথিবীর সকল মানুষই একটি একক সমাজে বসবাস করে এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া ও তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে একে অপরকে সেবা প্রদান করে থাকে।
- রোবটিক্স কী?
উত্তরঃ কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র ডিজাইন ও উৎপাদন সংক্রান্ত বিজ্ঞানই হলো রোবটিক্স।
- বায়োমেট্রিক্স কী?
উত্তরঃ বায়োমেট্রিক্স হলো এমন একটি প্রযুক্তি যেখানে কোনো ব্যক্তির দেহের গঠন এবং আচরণগত বৈশিষ্টের উপর ভিত্তি করে তাকে চিহ্নিতকরা হয়।
- Virtual Reality (ভার্চুয়্যাল রিয়েলিটি) কী?
উত্তরঃ ভার্চুয়্যাল রিয়েলিটি বা VR হচ্ছে কম্পিউটার মডেলিং ও অনুকরণবিদ্যার প্রয়োগ, যার মাধ্যমে মানুষ কৃত্রিম ত্রিমাত্রিক ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য পরিবেশের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারে।
- Artificial Intelligence বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কী?
উত্তরঃ মানুষের বুদ্ধিমত্তা ও চিন্তা শক্তিকে কৃত্রিম উপায়ে প্রযুক্তি নির্ভর যন্ত্রের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করাকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বলে।
- টেলিমেডিসিন কী?
উত্তরঃ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সাহায্যে কোনো ভৌগলিক দূরত্বে অবস্থানরত রোগীকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, রোগ নির্ণয় কেন্দ্র, বিশেষায়িত নেটওয়ার্ক ইত্যাদির সমন্বয়ে সাস্থ্যসেবা দেওয়াকে টেলিমেডিসিন বলা হয়।
- জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং কী?
উত্তরঃ কোনো জীব থেকে একটি নির্দিষ্ট জীন বহনকারী DNA খণ্ড পৃথক করে ভিন্ন একটি জীবে স্থানান্তরের কৌশলকে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বলে।
- ই-মেইল কী?
উত্তরঃ ই-মেইল হচ্ছে ইলেক্ট্রনিক মেইলের সংক্ষিপ্ত রূপ অর্থাৎ কম্পিউটারের সাহায্যে কোনো তথ্য বা সংবাদ অন্য কোথাও পাঠানো বা গ্রহন করার ব্যবস্থাকে ই-মেইল বলে।
- ডিজিটাল কনভারজেন্স কী?
উত্তরঃ ডিজিটাল কনভারজেন্স হলো বিভিন্ন মাধ্যমের বিভিন্ন প্রযুক্তিকে(তথ্য প্রযুক্তি, যোগাযোগ প্রযুক্তি বা টেলিকমিউনিকেশনস, কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স ও বিনোদন বা গেইম শিল্প) মিলিত করে একটি মাধ্যমে একীভুত করা এবং কার্যকরভাবে পরিচালনা করা।
- ডেটা কমিউনিকেশন কাকে বলে?
উত্তরঃ কম্পিউটার কিংবা অন্য কোনো যন্ত্রের মাধ্যমে ডেটাকে একস্থান হতে অন্য স্থানে কিংবা এক ডিভাইস হতে অন্য ডিভাইসে স্থানান্তরের প্রক্রিয়াকেই ডেটা কমিউনিকেশন বলা হয়।
- ডেটা কমিউনিকেশনের উপাদান কয়টি ও কি কি?
উত্তরঃ ডেটা কমিউনিকেশনের মৌলিক উপাদান হচ্ছে পাঁচটি।
- উৎস (Source)
- প্রেরক (Transmitter)
- কমিউনিকেশ চ্যানেল বা মাধ্যম (Medium)
- গ্রাহক বা প্রাপক (Receiver) ও
- গন্তব্য (Destination)
- ডেটা কমিউনিকেশনের মৌলিক উপাদানগুলোর সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও।
উত্তরঃ
- উৎস (Source): যে ডিভাইস হতে ডেটা পাঠানো হয় তাকে উৎস বলে। যেমন- কম্পিউটার, টেলিফোন ইত্যাদি।
- প্রেরক (Transmitter): যে ডিভাইস উৎস থেকে ডেটা নিয়ে কমিউনিকেশন মাধ্যমে পাঠায় তাকে প্রেরক বলে। যেমন- মডেম।
- কমিউনিকেশ চ্যানেল বা মাধ্যম (Medium): যার মধ্য দিয়ে ডেটা একস্থান হতে অন্য স্থানে যায় তাকে কমিউনিকেশন চ্যানেল বা মাধ্যম বলে। যেমন-
- গ্রাহক বা প্রাপক (Receiver): কমিউনিকেশন মাধ্যমে যার কাছে ডেটা পাঠানো হয় তাকে গ্রাহক বা প্রাপক বলে।
- গন্তব্য (Destination): সর্বশেষ গন্তব্য হিসেবে ব্যবহৃত সার্ভার, পার্সোনাল কম্পিউটার।
- ব্যান্ডউইথঃ ডেটা ট্রান্সমিশন স্পীড (Bandwidth: Data Transmission Speed) কি?
উত্তরঃ একস্থান হতে অন্য স্থানে কিংবা এক কম্পিউটার হতে অন্য কম্পিউটারে ডেটা স্থানান্তরের হারকে ডেটা ট্রান্সমিশন স্পীড বলে। অনেক সময় একে ব্যান্ডউইথ বলা হয়। অর্থাৎ, প্রতি সেকেন্ডে যে পরিমাণ বিট ট্রান্সমিট তাকে bps বা bandwidth বলে।
- bps = bit per second
- ব্যান্ডউইড্থ কত প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ ডেটা ট্রান্সফারের গতির উপর ভিত্তি করে কমিউনিকেশন গতিকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। যথাঃ
- ন্যারো ব্যান্ড (Narrow Band)
- ভয়েস ব্যান্ড (Voice Band)
- ব্রড ব্যান্ড (Broad Band)
- বিভিন্ন প্রকার ব্যান্ডউয়িড্থ সম্পর্কে বর্ণনা দাও।
উত্তরঃ ডেটা ট্রান্সফারের গতির উপর ভিত্তি করে কমিউনিকেশন গতিকে তিন ভাগে ভাগ করা হয়। নিম্নে বিস্তারিত বর্ণনা করা হলো-
ন্যারো ব্যান্ড (Narrow Band): ন্যারো ব্যান্ড সাধারণত ৪৫ থেকে ৩০০ bps পর্যন্ত হয়ে থাকে, এ ডেটা স্থানান্তর গতিকে ন্যারো ব্যান্ড বা Sub Voice ব্যান্ড বলে। এই ব্যান্ড ধীর গতি ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। টেলিগ্রাফিতে এই ব্যান্ড ব্যবহার করা হয়।
ভয়েস ব্যান্ড (Voice Band): এই ব্যান্ডের ডেটা গতি ৯৬০০ bps পর্যন্ত হয়ে থাকে। এটি সাধারণত টেলিফোনে বেশি ব্যবহার করা হয়। তবে কম্পিউটার ডেটা কমিউনিকেশনে কম্পিউটার থেকে প্রিন্টারে ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রে কিংবা কার্ড রিডার থেকে কম্পিউটারে ডেটা স্থানাতরের ক্ষেত্রে এই ব্যান্ড উইড্থ ব্যবহার করা হয়।
ব্রড ব্যান্ড (Broad Band): ব্রড ব্যান্ড উচ্চগতি সম্পন্ন ডেটা স্থানান্তর ব্যান্ড উইড্থ যার গতি কমপক্ষে ১ মেগা বিট পার সেকেন্ড(Mbps) হতে অত্যন্ত উচ্চ গতি পর্যন্ত হয়ে থাকে। সাধারণত কপ-এক্সিয়াল ক্যাবল ও অপটিক্যাল ফাইবারে ডেটা স্থানান্তরে ব্রড ব্যান্ড ডেটা ট্রান্সমিশন ব্যবহার করা হয়।তাছাড়া স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন এবং মাইক্রোওয়েভ কমিউনিকেশনেও এই ব্যান্ড ব্যবহার করা হয়।
- NIC কী?
- NIC এর পূর্ণরূপ Network Interface Card। দুই বা ততোধিক কম্পিউটারের মধ্যে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য স্থাপিত কার্ডই NIC।
- টপোলজি কী?
- টপোলজি হলো এমন একটি নেটওয়ার্কিং ব্যবস্থা যেখানে একটি কম্পিউটারের সাথে অপর একটি কিভাবে, কি কৌশলে যুক্ত হবে তা নির্দেশ করে।
- ক্লাঊড কম্পিউটিং কী?
- ক্লাউড কম্পিউটিং হলো এমন এক প্রকার সাবস্ক্রিপশন ভিত্তিক পরিসেবা বা সার্ভিস, যা নেটওয়ার্কের স্টোরেজ স্পেস এবং কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশের দ্রুত ও সুবিধাজনক ব্যবহার নিশ্চিত করে।
- ডেটা কমিউনিকেশন কী?
- ডেটা কমিউনিকেশন বলতে দুই বা ততোধিক কম্পিউটার পয়েন্টের মধ্যে ডিজিটাল ইনফরমেশন স্থানান্তরের প্রক্রিয়াকে বুঝায়।
- কম্পিউটার নেটওয়ার্ক কী?
- কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বলতে তথ্য আদান প্রদান বা রিসোর্স শেয়ার করার জন্য বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত কম্পিউটার গুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপনকে বূঝায়।
- মডেম কী?
- মডেম হলো একটি কমিউনিকেশন ডিভাইস যা তথ্যকে এক কম্পিউটার থেকে অন্য কম্পিউটারে টেলিফোন নেটওইয়ার্ক ব্যবস্থার মাধ্যমে পৌছে দেয়।
- ডেটা ট্রান্সমিশন মোড কী?
- এক কম্পিউটার থেকে দূরবর্তী কোনো কম্পিউটারে ডেটা ট্রান্সমিট করতে যে পদ্ধতি ব্যবহার করা হয় তাই ডেটা ট্রান্সমিশন মোড।
- ব্রিজ কী?
- একাধিক ল্যানের ভিতরে সংযোগ স্থাপনের জন্য ব্যবহৃত নেটওয়ার্কিং ডিভাইসকে ব্রিজ বলে।
- LAN কী?
- সাধারণত 1km বা তার কম এরিয়ার মধ্যেবেশ কিছু কম্পিউটার টার্মিনাল বা অন্যকোনো পেরিফেরাল ডিভাইস সংযুক্ত করে যে নেটওয়ার্ক তৈরি করা হয় তাই LAN।
- ডেটা কমিউনিকেশন মোড কাকে বলে?
- এক কম্পিউটার থেকে দূরবর্তী কোনো কম্পিউটারে ডেটা কমিউনিকেশন করতে যে পদ্ধতি ব্যবহার করা তাকে ডেটা কমিউনিকেশন মোড বলে।
- 9600 bps স্পিডটি ব্যাখ্যা কর।
- 9600 bps স্পিডটি হলো ভয়েস ব্যান্ড।9600 bps বলতে বুঝায় প্রতি সেকেন্ডে 9600 bit ডেটা স্থানান্তরিত হয়। ভয়েস ব্যান্ড সাধারণত 9600 bps পর্যন্ত ডেটা স্থানান্তরিত হয়। টেলিফোন লাইনে এই ব্যান্ডউয়িড্থ ব্যাবহার করা হয়। এছাড়া কম্পিউটার ও পেরিফেরাল যন্ত্রপাতিতে ডেটা স্থানান্তরের ক্ষেত্রেও এই ব্যান্ডউয়িড্থ ব্যবহার করা হয়।
- ফাইবার অপটিক ক্যাবল EMI মুক্ত কেন?
- ফাইবার অপটিক অন্তরক পদার্থ দ্বারা তৈরি হওয়ায় এটি বিদ্যুৎ চৌম্বকীয় প্রভাব বা EMI থেকে মুক্ত। ফাইবার অপটিক্স এর উপাদান গুলো হলো- সোডা, বোরো সিলিকেট, সোডা লাইম সিলিকেট, এবং সোডা অ্যালুমিনা সিলিকেট যা অন্তরক পদার্থ। এছাড়াও ফাইবার অপটিক্সের বহিরাবরণ হিসাবে যে জ্যাকেট ব্যবহার করা হয় তা হলো প্লাস্টিক এবং প্লাস্টিকও অন্তরক পদার্থ। ফলে ফাইবার অপটিক সর্বদা EMI মুক্ত থাকে।
- মোবাইল ফোনের ডেটা ট্রান্সমিশন মোড ব্যাখ্যা কর।
- মোবাইল ফোনের ডেটা ট্রান্সমিশন মোড হলো ফুল-ডুপ্লেক্স। এ পদ্ধতিতে ডেটা একই সাথে উভয় দিকে আদান-প্রদান করা যায়। অর্থাৎ প্রেরক ও প্রাপক উভয়ই একসাথে ডেটা আদান-প্রদান করতে পারে। বর্তমানে আমরা স্বাচ্ছন্দ্যে কথা বলার জন্য যেসব প্রযুক্তি ব্যবহার করে থাকি, সেগুলোর প্রায় সবগুলোই ফুল-ডুপ্লেক্স ডিভাইস। এসব প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রেরক ও গ্রাহক একই সাথে তথ্য আদান প্রদান করতে পারে।
- ডেটা পরিবহনে ফাইবার অপটিক ক্যাবল নিরাপদ কেন?
- ডেটা পরিবহনে ফাইবারপটিক ক্যবল নিরাপদ। এটি প্লাস্টিক বা অন্যান্য পদার্থের সমন্বয়ে তৈরি একটি আবরণ, যা ফাইবারকে আর্দ্রতা, ঘর্ষণ, মচকানো এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করে। অপটিক্যাল ফাইবার দিয়ে অনেক দূরত্বে কম সময়ে আলোর গতিতে বিপুল পরিমাণ তথ্য পরিবহন করা যায়। এ ব্যবস্থায় তথ্য পরিবহনে তথ্য ক্ষয় কম হয়। অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল সাধারণত টেলিফোন যোগাযোগের ক্ষেত্রে বহুল ব্যবহৃত হয়। এছাড়া আলোকসজ্জা, সেন্সর ও ছবি সম্পাদনার কাজেও ব্যবহৃত হচ্ছে।
- অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলকে নেটওয়ার্কের ব্যাকবোন বলা হয় কেন?
- নেটওয়ার্কের পয়েন্টগুলোর মধ্যে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে ডেটা, তথ্য, ফাইল ইত্যাদি ট্রান্সমিট করতে পারায় অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবলকে নেটওয়ার্কের ব্যাকবোন বলা হয়। এটি ইলেক্ট্রিক্যাল সিগন্যালের পরিবর্তে আলোক সিগন্যাল ব্যবহার করে। বর্তমানে পৃথিবীর সব দেশেই অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল ব্যবহার করে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে।
- আলোর গতির ন্যায় ডেটা প্ররণের জন্য ব্যবহৃত ক্যাবলটি ব্যাখ্যা কর।
- আলোর গতির ন্যায় ডেটা প্ররণের জন্য ব্যবহৃত ক্যাবলটি হলো অপটিক্যাল ফাইবার। অপটিক্যাল ফাইবারে আলোকের পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন পদ্ধতিতে ডেটা উৎস থেকে গন্তব্যে গমন করে। এতে গিগাবাইট বা তার চেয়েও বেশি গতিতে ডেটা চলাচল করে। এটি ইলেক্ট্রিক্যাল সিগন্যালের পরিবর্তে আলোক সিগন্যাল ব্যবহার করে।
- অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনে সময় বেশি লাগে-বুঝিয়ে লিখ।
- অ্যাসিনক্রোনাস ট্রান্সমিশনে সময় বেশি লাগার কারণ হলো দূটি কারেক্টারের মাঝখানে অসমান বিরতি। অর্থাৎ অ্যাসিনক্রোনাস ডেটা ট্রান্সমিশন পদ্ধতিতে একটি ক্যারেক্টার ট্রান্সমিট হওয়ার পর আরেকটি ক্যারেক্টার ট্রান্সমিট করার মাঝের বিরতি সমান না হয়ে ভিন্ন ভিন্ন হয়। তাই এই পদ্ধতিতে ডেটা ট্রান্সমিট হতে সময় বেশি লাগে।
- অপটিক্যাল ফাইবারের ব্যান্ড উয়িড্থ বুঝিয়ে লিখ।
- অপটিক্যাল ফাইবারের ব্যান্ড উয়িড্থ হচ্ছে ব্রডব্যান্ড। ব্রডব্যান্ড উচ্চ গতি সম্পন্ন ডেটা স্থানান্তর ব্যান্ড উয়িড্থ যার গতি কমপক্ষে 1 Mbps হতে 1Gbps পর্যন্ত হতে পারে। অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল ব্যবহার করে দেওয়া ইন্টারনেট কানেকশনকে ব্রডব্যান্ড ফাইবার কানেকশন বলে।
- কোড বা কম্পিউটার কোড কী?
উত্তরঃ কম্পিউটার সিস্টেমে ব্যবহৃত প্রতিটি বর্ণ, সংখ্যা বা বিশেষ চিহ্নকে পৃথক পৃথকভাবে সিপিইউকে বোঝানোর জন্য বাইনারি বিট অর্থাৎ 0 বা 1 রুপান্তর করে বিভিন্নভাবে সাজিয়ে অদ্বিতীয় সংকেত তৈরি করা হয়। এই অদ্বিতীয় সংকেত হলো কম্পিউটার কোড।
- BCD কোড কী?
উত্তরঃ দশমিক সংখ্যাকে বাইনারি সংখ্যায় প্রকাশের জন্য যে কোড ব্যবহার করা হয়, তাই BCD(Binary Coded Decimal) কোড।
- এনকোডার কী?
উত্তরঃ যে ডিজিটাল বর্তনীর মাধ্যমে আনকোডেড ডেটা কোডেড ডেটায় পরিণত করা হয় তাকে এনকোডার বলে।
- রেজিস্টার কী?
উত্তরঃ রেজিস্টার হলো মাইক্রোপ্রসেসরের অভ্যন্তরে অবস্থিত উচ্চ গতি সম্পন্ন মেমোরি।
- ASCII এর পূর্ণরূপ কী?
উত্তরঃ ASCII এর পূর্ণরূপ হচ্ছে American Standard Code for Information Interchange.
- লজিক গেইট কী?
উত্তরঃ লজিক গেইট হলো এক প্রকার যা যুক্তিমূলক সংকেতের প্রবাহ নির্বাহ করে।
- সংখ্যা পদ্ধতির বেজ বা ভিত্তি কী?
উত্তরঃ কোনো সংখ্যা পদ্ধতিতে যে কয়টি মৌলিক চিহ্ন ব্যবহৃত হয় তার মোট সংখ্যাকে ঐ সংখ্যা পদ্ধতির বেজ বা ভিত্তি বলে।
- বুলিয়ান স্বতঃসিদ্ধ কী?
উত্তরঃ যোগ ও গুনের ক্ষেত্রে বুলিয়ান অ্যালজেবরা কতকগুলো নিয়ম মেনে চলে, এই নিয়ম গুলোই হলো বুলিয়ান স্বতঃসিদ্ধ।
- ডিকোডার কী?
উত্তরঃ ডিকোডার হলো এমন একটি ইলেকট্রনিক যন্ত্র বা ডিভাইস যা কম্পিউটারের বোধগম্য ভাষাকে মানুষের বোধগম্য ভাষায় রূপান্তর করে।
- ২ এর পরিপূরক কী?
উত্তরঃ কোনো বাইনারি সংখ্যার 1-এর বাইনারি পরিপূরকের সাথে 1 যোগ করলে 2 -এর বাইনারি পরিপূরক পাওয়া যায়।
- ইউনিকোড কী?
উত্তরঃ বিশ্বের সকল ভাষাকে কম্পিউটারের কোডভুক্ত করার জন্য বড় বড় কোম্পানি গুলো একটি মান তৈরি করেছেন যাকে ইউনিকোড বলা হয়।
Website: ncc-bd.blogspot.com Facebook Page: www.facebook.com/neuroncc
- সংখ্যা পদ্ধতি কী?
উত্তরঃ বিভিন্ন সাংকেতিক চিহ্ন বা মৌলিক চিহ্ন বা অংক ব্যবহার করে সংখ্যা লেখা ও প্রকাশ করার পদ্ধতিই সংখ্যা পদ্ধতি।
- বুলিয়ান অ্যালজেবরা কী?
উত্তরঃ বুলিয়ান অ্যালজেবরা হলো যৌক্তিক চলক এবং যুক্তিমূলক অপারেশনসমূহের সহযোগে গঠিত গণিত।
- কাউন্টার কী?
উত্তরঃ কাউন্টার হলো এমিন একটি সিকুয়েন্সিয়াল সার্কিট যা দেওয়া ইনপুট পালসের সংখ্যা গুণতে পারে।
- কোন যুক্তিতে 1 + 1 = 1 এবং 1 + 1 = 10 হয় ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ 1 + 1 = 1 এটি একটি যৌক্তিক যোগ যা অর গেইট দ্বারা বাস্তবায়ন করা যায়। যেকোনো একটি ইনপুটের মান 1 হলে আউটপুট 1 হয়। বুলিয়ান যোগের ক্ষেত্রে একাধিক 1 যোগ করলে তাদের যোগফল 1 হয়। অপরদিকে 1 + 1 = 10 হলো একটি বাইনারি যোগ।
- 3 + 5 = 10 কেন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ এটি একটি অকটাল সংখ্যা পদ্ধতির যোগ। দশমিক সংখ্যা পদ্ধতিতে 3 + 5 = 8 হয়। কিন্তু অকটালে 3 + 5 = 10 হয়। অকটাল পদ্ধতিতে 7 এর পরবর্তী সংখ্যা 10, যার দশমিক সংখ্যা পদ্ধতিতে সমতুল্য মান 8।
- বিয়োগের কাজ যোগের মাধ্যমে করা সম্ভব – ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ বিয়োগের কাজ যোগের মাধ্যমে করা সম্ভব। ২ এর পরিপূরক গঠনে যোগ ও বিয়োগের জন্য একই বর্তনী ব্যবহার করা যায়। তাই আধুনিক কম্পিউটারে ২ এর পরিপূরক পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
- “চিত্রটি যৌক্তিক যোগের প্রতিনিধিত্ব করে” – ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ বুলিয়ান অ্যালজেবরায় যৌক্তিক যোগ করার জন্য অর গেইট ব্যবহার করা হয়। এই গেইটে একাধিক ইনপুট থেকে একটি মাত্র আউটপুট পাওয়া যায়। যেমন- দুটি ইনপুট যদি A ও B হয়, তবে আউটপুট হয় Y = A + B। উপরে চিত্রটি দ্বারা অর গেইট প্রকাশ করা হয়।
- ডিজিটাল ডিভাইসে বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির গুরুত্ব ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ কম্পিউটারে বা বিভিন্ন ডিজিটাল ডিভাইসে বাইনারি সংখ্যা ব্যবহার করা নানা কারণে সুবিধাজনক। যেমন- বাইনারি সংখ্যায় ব্যবহৃত অঙ্কগুলো (০ ও ১) সহজেই ইলেক্ট্রিক্যাল সিগন্যালের সাহায্য প্রকাশ করা যায়। কম্পিউটার সিস্টেমে ব্যবহৃত অন্যান্য ডিজিটাল ডিভাইস যথা- ডিজিটাল ক্যামেরা, ডিজিটাল ফোন ইত্যাদি বাইনারি মোডে কাজ করে। ফলে খুব সহজেই কম্পিউটারের সাথে ইন্টারফেসিং করা যায়।
- (২৬৭)১০ – সংখ্যাকে কম্পিউটার সরাসরি গ্রহন করে না-ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ (২৬৭)১০ একটি দশমিক পদ্ধতির সংখ্যা যা কম্পিউটার সরাসরি গ্রহন করতে পারে না। কম্পিউটারে ব্যবহৃত সংখ্যা পদ্ধতি হলো বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতি এবং হেক্সাডেসিম্যাল সংখ্যা পদ্ধতি।
- (২৯৮)৮ সংখ্যাটি সঠিক কিনা – ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ (২৯৮)৮ সংখ্যাটি সঠিক নয়। কারণ অকটাল সংখ্যা পদ্ধতিতে অঙ্কগুলো হলো 0, 1, 2, 3, 4, 5, 6 ও 7। মোট ৮টি অঙ্ক ব্যবহার করা হয়। অকটাল সংখ্যার বেজ ৮। অকটাল পদ্ধতিতে যে কোনো সংখ্যা লিখতে গেলে ০ থেকে ৭ অঙ্ক ব্যবহার করে লিখতে হয়। কিন্তু (২৯৮)৮ সংখ্যাটিতে ৯ ও ৮ ব্যবহার করা হয়েছে।
- “অকটাল তিন বিটের কোড” – ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ অকটাল সংখ্যা পদ্ধতির বেজ ৮। এই পদ্ধতির অঙ্ক গুলো হলো ০, ১, ২,৩, ৪, ৫, ৬ ও ৭। শূন্য সহ ১ থেকে ৭ পর্যন্ত অকটালের অঙ্ক গুলোকে বাইনারিতে প্রকাশ করলে সর্বোচ্চ তিনটি বিটের প্রয়োজন হয়। তাই অকটালকে তিন বিটের কোড বলা হয়।
- ইউনিকোড বিশ্বের সকল ভাষাভাষী মানুষের জন্য আশির্বাদ-বুঝিয়ে লিখ।
উত্তরঃ ইউনিকোড বিশ্বের সকল ভাষাভাষী মানুষের জন্য আশির্বাদ কারণ এর মাধ্যমে বিশ্বের সকল ভাষা ব্যবহার করেই কম্পিউটারে প্রসেস বা প্রক্রিয়াকরণ করা যায়। তাই একে ইউনিভার্সাল কোড বা ইউনিকোড বলা হয়। ইউনিকোড হলো ১৬ বিটের কোড। অর্থাৎ এই কোডের মাধ্যমে ২১৬ = ৬৫৫৩৬ টি ভিন্ন অক্ষর প্রকাশ করা যায়।
- চার বিট রেজিস্টারে চারটি ফ্লিপ ফ্লপ থাকে – বুঝিয়ে লিখ।
উত্তরঃ মেমোরি ডিভাসের ক্ষুদ্রতম একক হল ফ্লিপ ফ্লপ গেইট। একটি ফ্লিপ ফ্লপ ডেটার এক বিট ধারণ করতে পারে। একাধিক ফ্লিপ ফ্লপের সমষ্টিই হলো রেজিস্টার। রেজিস্টার একগুচ্ছ ফ্লিপ ফ্লপ গেইটের সমন্বয়ে গঠিত সার্কিট যেখানে প্রত্যেকটি ফ্লিপ ফ্লপ একটি করে বাইনারি বিট ধারণ করে থাকে। n-বিট রেজিস্টারে n-সংখ্যক ফ্লিপ ফ্লপ থাকে এবং n-বিট বাইনারি তথ্য সংরক্ষণ করতে পারে। এজন্য চার বিট রেজিস্টারে চারটি ফ্লিপ ফ্লপ থাকে।
- (14)10 এর সমকক্ষ BCD কোড এবং বাইনারি সংখ্যার মধ্যে কোনটিতে বেশি বিট প্রয়োজন? বুঝিয়ে লিখ।
উত্তরঃ (14)10 এর সমকক্ষ BCD সংখ্যা হচ্ছেঃ
14
0001 0100
(14)10 এর সমকক্ষ বাইনারি হচ্ছেঃ
(14)10 = (1110)2
অর্থাৎ বলা যায় যে, BCD কোড এবং বাইনারি সংখ্যার মধ্যে BCD তে বেশি বিট লাগে।
- 5D কোন ধরণের সংখ্যা? ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ 5D হলো হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা। কারণ সংখ্যাটিতে ২টি অঙ্ক ও বর্ণ ব্যবহার করা হয়েছে, যথা 5 ও D। চার প্রকার সংখ্যা পদ্ধতির মধ্যে কেবল হেক্সাডেসিমেল সংখ্যা পদ্ধতিতেই এরূপ অঙ্ক ও বর্ণটি ব্যবহৃত হয়। হেক্সাডেসিমেল পদ্ধতিতে দশমিক পদ্ধতির ১০ টি অঙ্ক এবং ইংরেজি বড় হাতের প্রথম ছয়টি বর্ণ ব্যবহার করা হয়। তাই এটি স্পষ্ট যে, 5D হেক্সাডেসিমেল পদ্ধতির সংখ্যা।
- ইউনিকোডের পূর্বে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত আলফানিউমেরিক্যাল কোড ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃ ইউনিকোডের পূর্বে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত আলফানিউমেরিক্যাল কোডটি হলো আসকি কোড। American Standard Code for Information Interchange এর সংক্ষিপ্ত রূপ হচ্ছে ASCII। ১৯৬৫ সালে রবার্ট বিমার সাত বিটের আসকি কোড উদ্ভাবন করেন। আসকি একটি বহুল প্রচলিত কোড, যা আটটি বিট নিয়ে গঠিত হয়। এই কোডের মাধ্যমে ২৮ বা ২৫৬ টি অদ্বিতীয় চিহ্নকে নির্দিষ্ট করা যায়। বর্তমানে আসকি কোড বলতে ASCII-8 কেই বুঝায়।
0 comments:
Post a Comment