• রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম

    ধর্মনিরপেক্ষতার সংজ্ঞায় বলা হয়েছে- Rejects all forms of religious faith অর্থাৎ এটি হলো এমন দর্শন যা সকল প্রকার ধর্মবিশ্বাসকে নাকচ করে দেয়। Encyclopedia of Britanica তে বলা হয়েছে যে, যারা কোন ধর্মের অন্তর্গত নয়, কোন ধর্মের সাথে সম্পৃক্ত নয়, কোন ধর্মে বিশ্বাসী নয় এবং আধ্যাত্মিকতা, জবাবদিহিতা ও পবিত্রতা বিরোধী তাদেরকেই বলা হয় ধর্মনিরপেক্ষ। chambers dictionary -এর মতে, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ হচ্ছে- The belief that the state morals, education should be independent of religion. অর্থাৎ ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ হলো এমন এক বিশ্বাস যার মতে, রাষ্ট্র, নৈতিক, শিক্ষা ইত্যাদি সবকিছু ধর্মমুক্ত থাকবে। Oxford dictonary -এর মতে, আল্লাহতে বিশ্বাস বা পরকালে বিশ্বাসনির্ভর ত্যাগ করে মানব জাতির বর্তমান কল্যাণ চিন্তার ওপর ভিত্তি করে নৈতিকতা গড়ে উঠবে। ড. হাসানুজ্জামান বলেন, ‘ধর্মনিরপেক্ষতা কেবল অল্প খারাপই নয়, এটি সত্য বিধ্বংসী ইবলিসী কালকূট'। অর্থাৎ ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ এমন একটি মতবাদ, চিন্তাধারা, বিশ্বাস যা পারলৌকিক ধ্যান-ধারণা ও ধর্মের সাথে সম্পর্কহীনভাবে সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি, সংস্কৃতি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও রাষ্ট্র পরিচালনা করে। যা পরিপূর্ণ জীবন বিধান ইসলামের সাথে সম্পূর্ণভাবে সাংঘর্ষিক। 



    কুফুরী গণতন্ত্র ও কুরআন বিরোধী সংবিধানের ছায়াতলে নামে ইসলাম থাকলে কি লাভ, সাহস থাকলে কুফুরী গণতন্ত্র ও কুরআন বিরোধী সংবিধান নিয়ে বলুন।

    ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দিতে উকিল নোটিশ’ ইস্যু নিয়ে মুসলমানদের মধ্যে যে আলোড়ন তৈরী হয়েছে সেটা বন্ধ করা যাবে না। এই আলোড়ন থেকেই নতুন দাবী তুলতে হবে-
    ২০১১ সালে সংবিধান থেকে “আল্লাহের প্রতি সম্পূর্ণ বিশ্বাস ও আস্থা” অংশটি সরিয়ে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ যুক্ত করা হয়, সেটা যেন আবার ফিরিয়ে আনা হয়।।
    মানে ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ দিয়ে পুনরায় “আল্লাহের প্রতি সম্পূর্ণ বিশ্বাস ও আস্থা” ফিরিয়ে আনতে দাবী তুলতে হবে। রাষ্ট্রধর্ম রাখতে ডিভেন্সিভ হলে সারা জীবন শুধু আক্রমণ সহ্যই করতে হবে, সেটা বন্ধে কিছু অফেন্সিভ দাবী তোলা উচিত। তাহলে বিরোধীপক্ষ নিজেরাই চাপের মধ্যে থাকবে।
    আর যতদিন সংবিধানে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ অংশটুকু থাকবে, ততদিন ঐ অংশটুকুকে কাজে লাগিয়ে বিরোধীপক্ষ সব সময় রাষ্ট্রধর্মকে আঘাত করতেই থাকবে। তাই এক্ষেত্রে একমাত্র উপায় হচ্ছে ঐ ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ অংশটুকুকেই বাদ দিয়ে দেয়া। তাহলে আর সেটাকে কাজে লাগিয়ে কেউ রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারবে না।
    আর করোনা নিয়ে ইসলামীক দলগুলো অনেকটাই ঝিমিয়ে পড়েছে। তারা এ ইস্যুটাকে কেন্দ্র করে মাঠে নামলে ভালো হয়। সাধারণ মুসলমানরা অবশ্যই সেটাকে সাপোর্ট দিবে।

    রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের উপকারিতা কি?
    কিছু ভাইকে দেখলাম প্রশ্ন উত্থাপন করছেন, যে দেশের ৯০% মুসলমান ছালাত আদায় করেনা সে দেশে রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম থাকলেই কি আর না থাকলেই কি!
    তাদের এই মন্তব্য চরম ভয়ংকর।
    আমি গুনাহর মাঝে আছি। একারণে কি আমি ছালাত পড়া বন্ধ করে দিব?
    তেমনি, অন্য কেউ গুনাহের মধ্যে আছে। এ জন্য তার ছালাত নিয়ে কি তাকে খোটা দিব?
    যখন আমি বললাম, "বহু নামাজি আছে, নামাজ পড়তে পড়তে কপালে ... কিন্তু দেখবেন তার বৌ-মেয়ে ..."
    এ ধরনের কথা দ্বারা আমার ইগো বুষ্ট হয়। অন্যের নেক আমলের প্রতি আমার ঘৃনাটা বাহির হয়ে আসে। কিন্তু এতে সমাজের কল্যাণ নেই।
    এই ধরণের কথার দ্বারা গুণাহকে নয় বরং ছালাতকে আক্রমণ করা হয়।
    ভালো আর মন্দকে আমি যখন সাংঘর্ষিক করবো তখন মানুষ ভালোটা ছেড়ে দেবে এই ধারনা করে যে, মন্দে থাকলে ভালো কাজ করা যাবে না।
    নামাজ পড়াটা ঐচ্ছিক না। পড়তে হবে। সারাদিন পাপের মাঝে ডুবে থাকলেও ছালাতের সময় হলে ছালাত পড়তে হবে। গুনাহগারের জন্য নামাজ মাফ হয়না।
    ঠিক তেমনি সারা দেশ গুণাহে ডুবে গেলেও সরিষা সমপরিমাণ কল্যাণ যদি বাকী থাকে তাহলে আমাদেরকে সেই কল্যাণ টিকিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে। অন্য গুণাহের কারণে আমি এই কল্যাণকে আক্রমণ করতে পারিনা। এটা অনেক বড় ভয়াবহ ভুল।
    পুরো দেশ গুণাহে ডুবে গেলেও যদি রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকে তবুও এর কল্যাণ আছে।
    (আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাযযাক )


    রাষ্ট্রধর্ম নির্ধারিত হতে হয় সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের পালন করা ধর্মকে প্রাধান্য দিয়ে। রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের বিরুদ্ধে যে কোনো অন্যায় অভিযোগকে আমরা সকলেই দল মত নির্বিশেষে সোচ্চার হয়ে রূখে দিতে বদ্ধপরিকর থাকব ইনশাআল্লাহ।


    ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দিতে উকিল নোটিশ’ ইস্যু নিয়ে মুসলমানদের মধ্যে যে আলোড়ন তৈরী হয়েছে সেটা বন্ধ করা যাবে না। এই আলোড়ন থেকেই নতুন দাবী তুলতে হবে-
    ২০১১ সালে সংবিধান থেকে “আল্লাহের প্রতি সম্পূর্ণ বিশ্বাস ও আস্থা” অংশটি সরিয়ে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ যুক্ত করা হয়, সেটা যেন আবার ফিরিয়ে আনা হয়।।
    মানে ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ দিয়ে পুনরায় “আল্লাহের প্রতি সম্পূর্ণ বিশ্বাস ও আস্থা” ফিরিয়ে আনতে দাবী তুলতে হবে। রাষ্ট্রধর্ম রাখতে ডিভেন্সিভ হলে সারা জীবন শুধু আক্রমণ সহ্যই করতে হবে, সেটা বন্ধে কিছু অফেন্সিভ দাবী তোলা উচিত। তাহলে বিরোধীপক্ষ নিজেরাই চাপের মধ্যে থাকবে।
    আর যতদিন সংবিধানে ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ অংশটুকু থাকবে, ততদিন ঐ অংশটুকুকে কাজে লাগিয়ে বিরোধীপক্ষ সব সময় রাষ্ট্রধর্মকে আঘাত করতেই থাকবে। তাই এক্ষেত্রে একমাত্র উপায় হচ্ছে ঐ ‘ধর্মনিরপেক্ষতা’ অংশটুকুকেই বাদ দিয়ে দেয়া। তাহলে আর সেটাকে কাজে লাগিয়ে কেউ রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারবে না।
    আর করোনা নিয়ে ইসলামীক দলগুলো অনেকটাই ঝিমিয়ে পড়েছে। তারা এ ইস্যুটাকে কেন্দ্র করে মাঠে নামলে ভালো হয়। সাধারণ মুসলমানরা অবশ্যই সেটাকে সাপোর্ট দিবে।


    ইন্ডিয়া চাই তাদের অসৎ উদ্দেশ্য গুলো বাংলাদেশের মুসলমানদের ওপর চাপিয়ে দিতে, যখন এ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকবে না তাদের অসৎ উদ্দেশ্য গুলো বাস্তবায়ন করতে অনেক সুবিধা হবে, মালোরা অনেক সুদুরপ্রসারি ভাবে কাজ করতাছে, কিন্তু বাংলাদেশের কোন কোন মুসলিম আমরা বুঝতে পারতাছিনা, এটার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি হতে পারে

    চমৎকার বলেছেন মুহতারাম, জাযাকাল্লাহ খইরান , কিন্তু আহলে হাদিসের কিছু অতি আবেগী বন্ধু / ভাই বলেন যে, রাষ্ট্রেই যখন ইসলাম নাই তখন সংবিধানে থেকেই কি হবে ! আবার সংবিধান তো গনতান্ত্রিক বিধায় হারাম !
    এই রকম আবেগী ও মূর্খ কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশ্য আপনার বক্তব্য কি প্রিয় মুহতারাম ?

    খুবই মূল্যবান পোষ্ট করেছেন।।জাযাকাল্লাহ খায়রান।।জানি তারা সংবিধান থেকে রাষ্ট্র ধর্ম ইসলামকে বাদ দিতে পারবে না।।কিন্তু এভাবে বার বার আক্রমণ করে ,মুসলিম দের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি করে।তারা তাদের ক্ষমতাকে দেখাতে চাই।।।কিন্তু এদেশের মুসলিমদের এ বিষয় নিয়ে আন্দোলন করা উচিৎ ।।যে এই সাহস তারা কোথ থেকে পাই।।ভারতের রাষ্ট্র ধর্ম হিন্দু।সেখানে কোন মুসলিমরা রাষ্ট্র ধর্ম হিন্দুকে বাদ দেওয়ার কথা বলে না।।আর যদি বলে হিন্দুরা প্রকাশ্য তাদের হত্যা করবে।।
    আর দুর্ভাগ্য ৯০%মুসলিম রাষ্ট্র হয়ে তারা আজ কিভাবে এই নোটিশ দেয়।।
    এদের আইনের আওতায় আনা উচিৎ!

    কোরআন বলে,
    "আমি তোমাদের প্রত্যেককে একটি আইন ও পথ দিয়েছি। যদি আল্লাহ চাইতেন, তবে তোমাদের সবাইকে এক উম্মত করে দিতেন, কিন্তু এরূপ করেননি-যাতে তোমাদেরকে যে ধর্ম দিয়েছেন, তাতে তোমাদের পরীক্ষা নেন। অতএব, দৌড়ে কল্যাণকর বিষয়াদি অর্জন কর। তোমাদের সবাইকে আল্লাহর কাছে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। অতঃপর তিনি অবহিত করবেন সে বিষয়, যাতে তোমরা মতবিরোধ করতে।"
    [ সুরা মায়েদা ৫:৪৮ ]
    দ্বীন ইসলামের দৃষ্টিকোনে গোটা জমিনই আল্লাহ সকল মানবজাতির পরিক্ষাগার হিসাবে সৃষ্টি করেছেন, যাতে মুসলীম - অমুসলীম নির্বিশেষে বসবাস করবে। সেসাথে মুসলীমদের বলা হয়েছে,
    "তোমরাই শ্রেষ্ঠ উম্মত, মানবজাতির কল্যাণের নিমিত্তে তোমাদের উত্থান ঘটানো হয়েছে।"
    সেখানে মুসলীমগণ নিজেদের কর্তব্য ভুলে গিয়ে জমিনের এক টুকরোর মধ্যে নিজেদের আবদ্ধ করতে বদ্ধপরিকর হয়ে পড়েছে, অথচ সীমানা বিলোপ করাই তাদের কর্তব্য হওয়া উচিৎ ছিলো।
    আর মুসলীমদের ধ্যান ধারনা এমন হয়েছে যে,
    ★ আমরা আমাদের সীমানায় কোনো অমুসলীমকে প্রবেশ করতে দেবো না কিন্তু তাদের সীমানায় আমাদেরকে দ্বীনের দাওয়াত দিতে তারা বাধা দেবে না।
    ★ তারা ইসলাম গ্রহণ করলে স্বাগত জানাবো কিন্তু যদি ত্যাগ করে, তবে গর্দান নেবো।
    ★ আমাদের দ্বীন নিয়ে তারা কোনো প্রশ্ন করতে পারবে না কিন্তু তাদের ধর্মকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করতে দিতে হবে।
    ।।।।।।।
    আল্লাহ কি এজন্যই দ্বীনুল হক্ব প্রদান করেছিলেন, যার ইলমের নিকট অপরাপর সকল দ্বীনই পরাজিত হতে বাধ্য?




    ইসলাম সংবিধানে নয়, সংসদে থাকতে হবে!
    সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল থাকবে, কিন্তু এর কোন প্রভাব সংবিধানে প্রতিফলিত হবে না, শুধুমাত্র এক লাইন জায়গা দখল করে নির্বাক বসে থাকবে, এটা শুধু ইসলাম অবমাননাই নয়, রীতিমতো অবজ্ঞার শামিল। কেননা, ইসলাম আর মনুষ্য রচিত সংবিধান কখনোই একসাথে যায় না, যেতে পারে না। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম হলে সেখানে মনুষ্য রচিত সংবিধান অবশ্যই অটো ডিলিট হবে।
    আমরা কোন মানুষকে মুনাফিক তখনই বলি, যখন সে ইসলাম ও কুফর একসাথে ধারণ করে। তাহলে চিন্তা করুন, কোন রাষ্ট্রের সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংযুক্ত আছে। আবার সেই রাষ্ট্র কিছু মানুষের বানানো আইনে চলতে বাধ্য। সেই রাষ্ট্রে সকল ক্ষমতার উৎস হল জনগণ। সেই রাষ্ট্রে সুদ ভিত্তিক অর্থনীতি, মদের লাইসেন্স, পতিতাবৃত্তির লাইসেন্স, অশ্লীল ওয়েব সিরিজ ইত্যাদিও বৈধ। যেই রাষ্ট্র একদিকে মদ, জুয়া, ক্যাসিনো, পতিতাবৃত্তি, সুদ ইত্যাদির অনুমোদন দেয়, অন্যদিকে ইসলামকেও ধারণ করার দাবি করে সেই রাষ্ট্র কি নিঃসন্দেহে মুনাফিক রাষ্ট্র নয়? কাজেই কোন দেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম হলেই সেটা ইসলামী রাষ্ট্র হয়ে যায় না।
    ১৯৮৮ সালের আগে যখন সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম বলে কিছু ছিল না, তখন কি ইসলাম খুব অসহায় ছিল? তখন কি পাঁচ ওয়াক্ত আযান-সালাত মসজিদে হয়নি? আর ১৯৮৮ সালের জুন মাসে সংবিধানে ইসলাম রাষ্ট্রধর্ম হিসাবে স্বীকৃতি পাওয়ার পর থেকে কি কালিপুজা, দূর্গাপুজা, পাঠাবলি ইত্যাদি হয়নি? সমানে হয়েছে তো। তাহলে এই কনসেপ্ট কারা কেন বানালো? একটাই উত্তর- অসাধু রাজনীতিকরা সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থন লাভ করার মাধ্যমে ক্ষমতায় আসীন হওয়ার জন্য কিংবা ক্ষমতাকে দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য সব সময় কোন না কোনভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠের ধর্মকে ব্যবহার করেছে। কখনো রাষ্ট্রধর্ম, কখনো তাসবীহ-পট্টি, আবার কখনো মদিনা সনদ ইত্যাদি।
    সংবিধানে ইসলাম যুক্ত হওয়ার পর থেকে মুসলমানদের লাভ-ক্ষতির দিকটা যদি লক্ষ্য করি, তাহলে দেখা যায় ক্ষতির তালিকাটাই ক্রমান্বয়ে বড় হয়েছে। বোরকাকে জীবন্ত তাবু বলা হয়েছে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকা অবস্থাতেই। রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকা অবস্থাতেই শাহবাগ রচিত হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) এর চরিত্র নিয়ে কটুক্তিকারীদের রাষ্ট্রীয় বাহিনী দিয়ে নিরাপত্তা দেয়া হয়েছে। তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘শহীদ’ আখ্যা দেয়া হয়েছে। বিচার চাইতে যাওয়া শত শত মুসলমানদের হত্যা করা হয়েছে। ভোলায় পাখির মত মারা হয়েছে মুসলমানদের। বাল্যবিবাহের দোহাই দিয়ে সমাজে ব্যভিচারের হার বেড়েছে। সবকিছু রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকা অবস্থাতেই হয়েছে। আর লাভের দিক চিন্তা করলে মৌসুমী গলা ব্যবসায়ীদের উন্নতি ছাড়া উল্লেখযোগ্য তেমন কোন লাভ অন্তত আমার চোখে পড়ছে না।
    আবারো বলছি ইসলামী রাষ্ট্র আর রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম এক জিনিস নয়। সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম লাগিয়ে মুসলমানদের ধোঁকা দেয়া হয়েছে। যাতে মুসলমানরা কোনদিন তাদের মৌলিক অধিকার ইসলামী রাষ্ট্রের (খেলাফত ব্যবস্থা) দাবি তুলতে না পারে। কারণ ইসলামী রাষ্ট্রে কুরআন-সুন্নাহ সমর্থিত নয় এমন মনুষ্য আইনের কোন মূল্য নেই।
    ভারত হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র। আপনি একজন মুসলিম হিসেবে কখনো কি চাইবেন ভারতের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ছাড়া অন্যকিছু হোক? নিশ্চয় চাইবেন না। কেন চাইবেন না? আসল কথা হল এসবের সবকিছুই রাজনীতি। যতবেশি আপনি মনুষ্য তৈরি বিধিব্যবস্থায় ইসলামকে যুক্ত করার আন্দোলনে ব্যস্ত থাকবেন, ঠিক ততবেশিই আপনি আপনার মৌলিক দাবি ইসলামী রাষ্ট্র (খেলাফত) প্রতিষ্ঠার আন্দোলন থেকে দূরে সরে যেতে থাকবেন। তাগুতদের মুল মিশন এটাই।


  • 0 comments:

    Post a Comment

    New Research

    Attention Mechanism Based Multi Feature Fusion Forest for Hyperspectral Image Classification.

    CBS-GAN: A Band Selection Based Generative Adversarial Net for Hyperspectral Sample Generation.

    Multi-feature Fusion based Deep Forest for Hyperspectral Image Classification.

    ADDRESS

    388 Lumo Rd, Hongshan, Wuhan, Hubei, China

    EMAIL

    contact-m.zamanb@yahoo.com
    mostofa.zaman@cug.edu.cn

    TELEPHONE

    #
    #

    MOBILE

    +8615527370302,
    +8807171546477