• অ্যালগরিদম কোডিং এর পূর্বশর্ত (প্রোগ্রামিং ভাষা)



    কোনো একটা নির্দিষ্ট সমস্যা সমাধানের জন্য যুক্তিসম্মত ও ধাপে ধাপে সমাধান করার যে পদ্ধতি, তাকে অ্যালগরিদম বলা হয়। অপরদিকে কোনো সমস্যাকে কম্পিউটার দ্বারা সমাধান করার জন্য প্রোগামিং ভাষায় নির্দেশনা দেওয়াকেই বলে কোডিং। এক্ষেত্রে কোনো সমস্যাকে কম্পিউটার দ্বারা সমাধান করার পূর্বে অ্যালগরিদম অণুসরণ করলে যে সুবিধা পাওয়া যায়, তা হলো– সহজে প্রোগ্রামের উদ্দেশ্য বোঝা যায়। সহজে প্রোগ্রামের ভুল নির্ণয় করা যায়। প্রোগ্রামের প্রবাহের দিক বোঝা যায়। জটিল প্রোগ্রাম সহজে রচনা করা যায়। প্রোগ্রাম পরিবর্তন ও পরিবর্ধনে সহায়তা করে। অর্থাৎ কোডিং করার পূর্বে অ্যালগরিদম অণুসরণ করলে অনেক সুবিধা পাওয়া যায়। তাই বলা যায় অ্যালগরিদম কোডিং বা প্রোগামিং এর পূর্বশর্ত

    সি ও সি++ এর তুলনা

    সি ভাষা থেকে সি++ ভাষার উৎপত্তি। মূলত সি++ একটি সি এর উন্নত ভার্সন। নিচে সি ও সি++ এর তুলনামূলক বর্ণনা দেয়া হলো–
    সি (C)
    ১. সি একটি প্রসিডিউরাল প্রোগামিং ভাষা।
    ২. সি প্রোগামিং ভাষায় রিজার্ভড ওয়ার্ডের সংখ্যা কম।
    ৩. পলিমরফিজম ও ইনহেরিটেন্স এর সুবিধা নাই।
    ৪. টপ-ডাউন এপ্রোচে প্রোগ্রাম ডিজাইন করা হয়।

    সি++ (C++)
    ১. সি++ একটি অবজেক্ট অরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং ভাষা।
    ২. সি++ প্রোগ্রামিং ভাষায় রিজার্ভড ওয়ার্ডের সংখ্যা বেশী।
    ৩. পলিমরফিজম ও ইনহেরিটেন্স এর সুবিধা আছে।
    ৪. বটম-ডাউন এপ্রোচে প্রোগ্রাম ডিজাইন করা হয়।



    সি এবং সি++ এর মধ্যে পার্থক্য

    সি (C)
    ১. সি হলো একটি প্রসিডিউরাল প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ।
    ২. রিজার্ভড কী ওয়ার্ডের সংখ্যা কম।
    ৩. ইনপুট এবং আউটপুট লাইব্রেরিভিত্তিক এবং ফাংশনসমূহের অন্তর্ভুক্ত মাধ্যমে এর সামগ্রিক প্রক্রিয়া পরিচালিত হয়।
    ৪. পলিমরফিজম এবং ইনহেরিটেন্স ওভারলোডিং সুবিধা নেই।
    ৫. সি কম্পাইলার দিয়ে সি++ কম্পাইল করা যায় না।
    ৬. scanf() - ইনপুট নেয়ার জন্য এ ফাংশন ব্যবহৃত হয়। এবং printf() - আউটপুট নেয়ার জন্য এ ফাংশন ব্যবহৃত হয়।
    ৭. প্রোগ্রাম ডিজাইনে টপ-ডাউন অ্যাপ্রোচ ব্যবহৃত হয়।
    ৮. গ্লোবাল ভেরিয়েবল-এর মাল্টিপল ডিক্লেয়ারেশন করা যায়।
    ৯. main() এর সাথে অন্যান্য ফাংশন কল করে।
    ১০. প্রিমিটিভ এবং বিল্ট-ইন ডেটা টাইপকে সাপোর্ট করে।

    সি++ (C++)
    ১. সি++ হলো একটি অবজেক্ট অরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ।
    ২. রিজার্ভড কী ওয়ার্ডের সংখ্যা বেশি।
    ৩. ইনপুট এবং আউটপুট এবং কমান্ডের মাধ্যমে গঠিত।
    ৪. পলিমরফিজম এবং ইনহেরিটেন্স ওভারলোডিং সুবিধা আছে।
    ৫. বেশিরভাগ সি++ কম্পাইলার দিয়ে সি কম্পাইল করা যায়।
    ৬. Cin>> - ইনপুট নেয়ার জন্য এ ফাংশন ব্যবহৃত হয়। এবং Cout<< - আউটপুট নেয়ার জন্য এ ফাংশন ব্যবহৃত হয়।
    ৭. প্রোগ্রাম ডিজাইনে বটম-আপ অ্যাপ্রোচ ব্যবহৃত হয়।
    ৮. গ্লোবাল ভেরিয়েবল-এর মাল্টিপল ডিক্লেয়ারেশন করার অনুমতি দেয় না।
    ৯. main() এর সাথে অন্যান্য ফাংশন কল করে না।
    ১০. বিল্ট-ইন এবং ইউজার ডিফাইন ডেটা টাইপকে সাপোর্ট করে।


    সি হেডার ফাইল কি?
    কোন একটি সি প্রােগ্রাম লেখার সময় যে সকল ফাংশন ব্যবহার করা হয় এবং ফাংশনগুলাে কিভাবে কাজ করে তা নির্দিষ্ট কিছু ফাইলে বর্ণনা করা থাকে। এই ফাইলকে হেডার ফাইল বলে। লাইব্রেরি ফাংশনগুলাের ঘােষণা তাদের হেডার (h) ফাইলে এবং বিস্তারিত বর্ণনা সংশ্লিষ্ট লাইব্রেরি (.Lib) ফাইলে দেয়া থাকে। এজন্য সি প্রােগ্রামে কোন লাইব্রেরি ফাংশন ব্যবহার করলে প্রােগ্রামের শুরুতেই #include ডিরেক্টিভ স্টেটমেন্টের সাহায্যে সংশ্লিষ্ট হেডার ফাইল সংযুক্ত হয়ে থাকে। প্রােগ্রামে কোন হেডার ফাইল সংযুক্ত করা হলে কম্পাইলার প্রােগ্রাম কম্পাইল করার সময় সংযুক্ত ফাইলের উপাদানগুলাে সংশ্লিষ্ট লাইব্রেরি ফাইল থেকে কপি করে। কোন প্রােগ্রামের শুরুতে এসব ফাইল অন্তর্ভুক্ত করতে হয়। যেমন প্রােগ্রামের মধ্যে printf () ও scanf () এ দুটি ফাংশন ব্যবহার করার জন্য হেডার ফাইল হিসাবে stdio.h ফাইলকে অন্তর্ভুক্ত করতে #include <stdio.h> স্টেটমেন্টটি প্রােগ্রামের শুরুতে লিখতে হয়।


    সি ভাষার প্রোগ্রামে হেডার ফাইল যুক্ত করতে হয় কেন?
    একটি হেডার ফাইলে এক জাতীয় কতকগুলাে লাইব্রেরি ফাংশন, বিল্ট-ইন ফাংশন, কনস্ট্যান্ট, স্ট্রাকচার ইত্যাদির প্রােটোটাইপ ঘােষণা করা থাকে এবং সংশ্লিষ্ট লাইব্রেরি ফাইলে সেগুলাের পূর্ণ বিবরণী থাকে। #include স্টেটমেন্টকে ফাইল সংযুক্তকারী ডিরেক্টিভ স্টেটমেন্ট বলা হয়। প্রােগ্রামে কোনাে হেডার ফাইল বা সাের্স ফাইল সংযুক্ত করার জন্য এই ডিরেক্টিভ ব্যবহৃত হয়। সাধারণত প্রােগ্রামে কোনাে লাইব্রেরি ফাংশন ব্যবহার করলে হেডার ফাইল সংযুক্ত না করলে সি কম্পাইলার উক্ত ফাংশনটি চিনতে পারে না, ফলে প্রােগ্রামে এরর দেখায়। আর এ কারণেই সি প্রােগ্রামে হেডার ফাইল যুক্ত করতে হয়।

    উচ্চস্তরের ভাষা কীভাবে কাজ করে?
    কম্পিউটার একমাত্র যন্ত্রভাষা বুঝতে পারে বলে অন্য ভাষায় লেখা উৎস প্রােগ্রামকে যন্ত্রভাষায় অনুবাদ না করে নিলে তা কার্যকর করতে পারে না। উচ্চস্তরের ভাষায় লিখিত প্রােগ্রাম কম্পিউটার সরাসরি বুঝে না, এ প্রােগ্রামটিকে অনুবাদ করে মেশিনের ভাষায় (বাইনারিতে) বুঝিয়ে দিতে হবে। এ অনুবাদের কাজে অনুবাদক প্রােগ্রাম ব্যবহৃত হয়। অনুবাদক প্রােগ্রাম কম্পিউটারের উৎস প্রােগ্রাম (Source Programme) কে যন্ত্রভাষায় অনুবাদ করে বস্তু প্রোগ্রাম (Object Programme) এ পরিণত করে।


    চলক কি? চলক নামকরণের নিয়মাবলি
    চলক (Variable) হলো মেমোরি (RAM) লোকেশনের নাম বা ঠিকানা।

    চলক নামকরণ
    • ভেরিয়েবলের প্রথম অক্ষরটি অবশ্যই বর্ণ (a,..,z, A,..,Z), হতে হবে।
    • ভেরিয়েবলের প্রথম অক্ষরটির পরে ভেরিয়েবল নামকরণে কেবল আলফাবেটিক ক্যারেক্টার (a,..,z, A,..,Z), ডিজিট (0,..,9), এবং আন্ডারস্কোর (_) ও ডলার চিহ্ন ($) ব্যতীত অন্য কোন ক্যারেক্টার ব্যবহার করা যায় না।
    • একই ফাংশনে একই নামে দুই বা ততোধিক ভেরিয়েবল ঘোষণা করা যায় না।
    • ভেরিয়েবল নামের মধ্যে কোন ফাঁকা স্থান থাকতে পারে না।
    • ভেরিয়েবল নাম ডিজিট বা অঙ্ক দিয়ে শুরু হতে পারে না।
    • কোন কীওয়ার্ড, ফাংশন, স্টেটমেন্ট, রিজার্ভড ওয়ার্ড ইত্যাদির নাম ভেরিয়েবল হিসেবে ব্যবহার করা যায় না। main কোন কীওয়ার্ড না হলেও ভেরিয়েবল নাম হিসেবে main ব্যবহার করা যায় না।
    • ভেরিয়েবল নামকরণে সর্বাধিক ৩১ ক্যারেক্টার ব্যবহার করা যায়। তবে আট ক্যারেক্টারের বেশি ব্যবহার না করাই ভালো।


    অ্যাডা (Ada) কি?
    আমেরিকার প্রতিরক্ষা দপ্তরের জন্য রচিত একটি আদর্শ উচ্চস্তরের প্রোগামিং ল্যাঙ্গুয়েজ। বিখ্যাত ইংরেজ কবি লর্ড বায়রনের কন্যা অ্যাডা লাভলেসের নামানুসারে এ প্রোগামিং ভাষাকে নামকরণ করা হয়। অ্যাডা লাভলেসকে বিশ্বের প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রামার হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

    while loop ও do while loop বলতে কী বােঝায়?

    while loop : while (condition)
    { statement;
    }
    do while loop : do
    { statement;
    } while (condition);
    অর্থাৎ, যে লুপে আগে শর্ত চেক করে পরে লুপের statement এর কাজ করে সেটি while লুপ এবং যে লুপের কাজ একবার হওয়ার পর শর্ত চেক করে সেটা do while loop.

    C-কে Mid Level Language বলা হয় কেন?

    C-কে Mid Leve Language বলা হয়। কারণ এতে উচ্চ স্তরের ভাষার সুবিধার সাথে সাথে Assemble ভাষার সংযােগ ঘটানাে যায়। মধ্য পর্যায়ের ভাষা হিসেবে C-তে Assemble ভাষার মতাে Bit, Byte, Memory ও Address নিয়ে ইচ্ছামতাে কাজ করা যায়। আবার উচ্চস্তরের ভাষার মতাে এতে বিভিন্ন ডেটা টাইপ নিয়ে কাজ করা যায়। তাছাড়া ডেটা টাইপ বিভিন্ন ধরনের হলেও C-তে এগুলােকে সহজে রূপান্তর ও মিশ্রণ করা যায়।


    মেশিন ভাষা বলতে কী বােঝায়?
    মেশিন ভাষা বলতে কম্পিউটারে সরাসরি বােধগম্য ভাষাকে বােঝায়। কম্পিউটার প্রােগ্রাম করার মূল ভাষা হলাে মেশিন ভাষা। যে ভাষাতেই প্রােগ্রাম রচনা করা হােক না কেন শেষ পর্যন্ত তা মেশিন ভাষাতেই রূপান্তরিত হয়। মেশিন ভাষা কম্পিউটারের নিজস্ব ভাষা, যা কোনােরূপ রূপান্তর ছাড়া নির্বাহ করা যায় না। মেশিন ভাষায় প্রতিটি নির্দেশ, স্মৃতির অবস্থান, ডেটা লিখিত হয় বাইনারিতে। এজন্য মেশিন ভাষায় প্রােগ্রাম রচনার জন্য মেশিনের অভ্যন্তরীণ গঠন সম্পর্কে জানতে হয়।

    যন্ত্রনির্ভর ভাষা বলতে কী বােঝায়?


    যন্ত্রনির্ভর ভাষা বলতে ভিন্ন ভিন্ন কম্পিউটারে ব্যবহৃত ভিন্ন ভিন্ন ভাষাকে বােঝায়। যন্ত্রনির্ভর ভাষায় লিখিত প্রােগ্রাম যে কম্পিউটারের জন্য লেখা হয় তা শুধু এ কম্পিউটারেই কাজ করবে, তা অন্য কম্পিউটারে ব্যবহার করা যায় না। অ্যাসেম্বলি সে রকম একটি যন্ত্রনির্ভর ভাষা। ভিন্ন ভিন্ন কম্পিউটারের জন্য আ্যাসেম্বলি ভাষা ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। যন্ত্রনির্ভরশীলতা অ্যাসেম্বলি ভাষার একটি বড় অন্তরায়।

    জাভাকে Interpreted language বলা হয় কেন?
    ভার্চুয়াল মেশিনের মাধ্যমে বাইট কোড পড়ে প্রােগ্রাম চালানাে হয় বলে জাভাকে Interpreted language বলা হয়। জাভাতে একটি প্রােগ্রাম লেখার পর প্রােগ্রামার যখন compile করে তখন একটি byte code তৈরি হয়। আর এটি যে ফাইলে রাখা হয় তাকে class file বলে। এই class file চালানাের জন্য জাভা প্রণেতারা তৈরি করেন জাভা ভার্চুয়াল মেশিন (java Virtual Machine) বা JVM। এই ভার্চুয়াল মেশিনের মাধ্যমে বাইট কোড পড়ে প্রােগ্রাম চালানাে হয় বলে জাভাকে Interpreted language বলা হয়।

    যান্ত্রিক ভাষায় লেখা প্রােগ্রাম দ্রুত নির্বাহিত হয় কেন?

    কম্পিউটার একমাত্র যান্ত্রিক বা মেশিন ভাষাই সরাসরি বুঝতে পারে বলে এ ভাষায় লেখা প্রােগ্রাম দ্রুত নির্বাহিত হয়। ভাষার সর্বনিম্ন স্তর হলাে মেশিন ভাষা তথা যান্ত্রিক ভাষা। ১৯৪৫ সাল থেকে মেশিন ভাষা কম্পিউটারে প্রচলন হয়। মেশিন ভাষায় 0 ও 1 ব্যবহার করে নির্দেশ ও প্রােগ্রাম লেখা হয়। মেশিন ভাষা মূলত যন্ত্রনির্ভর, এতে যে কম্পিউটারের জন্য প্রােগ্রাম তৈরি করা হয় তা অন্য কম্পিউটারে ব্যবহার করা যায় না। কম্পিউটার সরাসরি এই ভাষা বুঝতে পারে, তাই এই ভাষায় লিখিত প্রােগ্রাম দ্রুত নির্বাহিত হয়।

    বর্তমান বিশ্বে জাভা সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রােগ্রামিংগুলাের মধ্যে অন্যতম কেন?

    বর্তমান বিশ্বে জাভা সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রােগ্রামিং ভাষাগুলাের অন্যতম হওয়ার কারণ হলাে এর বহনযােগ্যতা, নিরাপত্তা, অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রােগ্রামিং ও ওয়েব প্রােগ্রামিং-এর সুবিধা। ১৯৯১ সালে সান মাইক্রোসিস্টেম জাভা ডিজাইন করার পরে এটি অতি দ্রুত বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রােগ্রামিং ভাষার একটিতে পরিণত হয়। এটি ওয়েব এপ্লিকেশন, সাধারণ প্রােগ্রাম ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের এপ্লিকেশন তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। জাভার লেখা প্রােগ্রাম যেকোনাে অপারেটিং সিস্টেমে চালানাে যায় যদি সেই অপারেটিং সিস্টেমের জন্য একটি জাভা রানটাইম এনভায়রনমেন্ট থাকে। আর এই সুবিধাই জাভাকে জনপ্রিয় করেছে।

    অ্যালগরিদম ল্যাগুয়েজকে সার্বজনীন ভাষা বলা হয় কেন?
    সব কম্পিউটারে ব্যবহারযােগ্যতার জন্য অ্যালগরিদম ল্যাংগুয়েজকে সার্বজনীন ভাষা বলা হয়। আরবীয় গণিতবিদ আল খারিজমি তার গণিত বইতে সর্বপ্রথম ‘অ্যালগরিদম’ শব্দটি ব্যবহার করেন। এটি নির্দিষ্ট কোনাে সমস্যা সমাধানের জন্য একটা বিশেষ পন্থা। সব কম্পিউটারে ব্যবহারযােগ্য বৈজ্ঞানিক ও প্রকৌশলগত সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে সার্বজনীন ভাষা হিসেবে ১৯৫৮ সালে এর উদ্ভব ঘটে। তাই অ্যালগরিদম ল্যাংগুয়েজকে সার্বজনীন ভাষা বলা হয়।
    অ্যাসেম্বলি ভাষাকে মধ্যস্তরের ভাষা বলা যায় কেন?
    অ্যাসেম্বলি ভাষা মেশিন ভাষা থেকে উন্নত আবার উচ্চতর ভাষার সমকক্ষ নয় বলে এই ভাষাকে মধ্যস্তরের ভাষা বলা যায়। ১৯৫০ সাল থেকে দ্বিতীয় প্রজন্মের পর কম্পিউটারে অ্যাসেম্বলি ভাষার ব্যাপক প্রচলন শুরু হয়। এই ভাষা প্রথম প্রজন্মের মেশিন ভাষা থেকে উন্নত কিন্তু উচ্চতর ভাষার সমকক্ষ নয়, এ জন্য এ ভাষাকে মধ্যস্তরে ভাষাও বলা হয়ে থাকে। এ ভাষায় নির্দেশগুলাে কতকগুলাে সংকেত বা নেমনিক কোর্ডের মাধ্যমে দেওয়া হয়। যেমন - CLR দিয়ে Clear Accumulator, INP দিয়ে Input ইত্যাদি বােঝানাে হয়।
    অনুবাদক প্রােগ্রাম বলতে কী বােঝায়?

    যে প্রােগ্রাম উৎস প্রােগ্রামকে যান্ত্রিক ভাষায় অনুবাদ করে বস্তু প্রােগ্রামে রূপান্তর করে, সে প্রােগ্রামকে উৎস প্রােগ্রাম বলে। যদি সি ল্যাংগুয়েজে একটি প্রােগ্রাম লেখা তবে কম্পিউটার এ প্রােগ্রামটি বুঝবে না, এ প্রােগ্রামটিকে অনুবাদ করে যন্ত্রের ভাষায় (বাইনারিতে) বুঝিয়ে দিতে হবে। এজন্য প্রয়ােজন হয় একটি অনুবাদক প্রােগ্রামের। যেমন–
    %25E0%25A6%2585%25E0%25A6%25A8%25E0%25A7%2581%25E0%25A6%25AC%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25A6%25E0%25A6%2595%2B%25E0%25A6%25AA%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25B0%25E0%25A7%258B%25E0%25A6%2597%25E0%25A7%258D%25E0%25A6%25B0%25E0%25A6%25BE%25E0%25A6%25AE


    4GL বলতে কী বােঝায়?
    4GL হলাে কম্পিউটারের Fourth Generation Language অর্থাৎ চতুর্থ প্রজন্মের ভাষা। চতুর্থ প্রজন্মের ভাষাকে সংক্ষেপে 4GL বলে। সাধারণত ব্যবহারকারীর কাছে কম্পিউটারের ব্যবহার সর্বোচ্চ পর্যায়ে সহজ করার উদ্দেশ্যে এ ধরনের ভাষা তৈরি করা হয়েছে। এ ভাষায় প্রােগ্রাম লেখার পর পুরােটা কম্পাইল করার প্রয়ােজন হয় না। একটি কমান্ড লেখার সাথে সাথেই কম্পাইল হয়ে যায়। কয়েকটি চতুর্থ প্রজন্মের ভাষা হলাে- SQL, NOMAD, FOCUS, Intelect ইত্যাদি।


    C++ এ উচ্চস্তর এবং নিম্নস্তরের ভাষাগুলাের সুবিধা সংযুক্ত আছে কেন?

    C++ একটি মধ্যম স্তরের প্রােগ্রামিং ভাষা তাই এতে উচ্চস্তর এবং নিম্নস্তরের ভাষাগুলাের সুবিধা সংযুক্ত আছে।
    C++ এক ধরনের অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রােগ্রামিং ভাষা। মূলত সিমূলা ৬৭ এবং C প্রােগ্রামিং ভাষার সুবিধাজনক বৈশিষ্ট্যগুলাের সমন্বয় সাধন করে C++ তৈরি করা হয়েছে। এটি জনপ্রিয় প্রােগ্রামিং ভাষা এবং সফটওয়্যার শিল্পে বহুল ব্যবহৃত হয়। যেমন সিস্টেম সফটওয়্যার, বিনােদন সফটওয়্যার ইত্যাদি ক্ষেত্রে C++ ব্যবহৃত হয়।

    যান্ত্রিক ভাষা ও অ্যাসেম্বলি ভাষার মধ্যে পার্থক্য কি?

    যান্ত্রিক ভাষা ও অ্যাসেম্বলি ভাষা দুটোই নিম্ন স্তরের ভাষা। তবুও এদের মধ্যে নিম্ন বর্ণিত পার্থক্য দেখা যায়।

    যান্ত্রিক ভাষা

    • কম্পিউটার যন্ত্র সরাসরি যে ভাষা বুঝতে পারে সে ভাষাই হচ্ছে যান্ত্রিক ভাষা।
    • মেশিনের ভাষায় লিখিত প্রোগ্রামকে বস্তু প্রোগ্রাম বা Object প্রোগ্রাম বলা হয়।
    • 0 ও 1 এ দুটি অক্ষর দিয়ে যন্ত্রভাষা লেখা হয়।
    • যান্ত্রিক ভাষায় প্রোগ্রাম লেখা অত্যন্ত ক্লান্তিকর ও সময়সাপেক্ষ।
    • যন্ত্র ভাষায় লিখিত প্রোগ্রামে অনুবাদক প্রোগ্রামের প্রয়োজন হয় না।


    অ্যাসেম্বলি ভাষা

    • যে প্রোগামিং ভাষায় Numeric Code-এর পরিবর্তে Mnemonic code ব্যবহার করা হয় তাকে অ্যাসেম্বলি ভাষা বলে।
    • অ্যাসেম্বলি ভাষায় লিখিত প্রোগ্রামকে উৎস প্রোগ্রাম বা Source প্রোগ্রাম বলে।
    • অ্যাসেম্বলি ভাষায় অক্ষর এর পরিবর্তে সংকেত ব্যবহার করা হয়।
    • যান্ত্রিক ভাষার তুলনায় অ্যাসেম্বলি ভাষায় প্রোগ্রাম লেখা সহজতর ও কম সময়সাপেক্ষ।
    • অ্যাসেম্বলি ভাষায় লিখিত প্রোগ্রাম কম্পিউটারকে বুঝানোর জন্য অ্যাসেম্বলার নামক অনুবাদক প্রোগ্রামের প্রয়োজন হয়।



















  • 0 comments:

    Post a Comment

    New Research

    Attention Mechanism Based Multi Feature Fusion Forest for Hyperspectral Image Classification.

    CBS-GAN: A Band Selection Based Generative Adversarial Net for Hyperspectral Sample Generation.

    Multi-feature Fusion based Deep Forest for Hyperspectral Image Classification.

    ADDRESS

    388 Lumo Rd, Hongshan, Wuhan, Hubei, China

    EMAIL

    contact-m.zamanb@yahoo.com
    mostofa.zaman@cug.edu.cn

    TELEPHONE

    #
    #

    MOBILE

    +8615527370302,
    +8807171546477